রবিবার রাত ২.৫৫ নাগাদ সল্টলেকের একটি হাসপাতালে প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না কিডনির রোগে।
মৃত্যুকালে দীপা চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। গত প্রায় ৪৫ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় কিডনিজনিত সমস্যাও ধরা পড়ে। কিডনির সমস্যার জন্যই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
১৯৬০ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় দীপার। কয়েকটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন দীপা চট্টোপাধ্যায়।যার মধ্যে উল্লেখ্য, ‘বিলম্বিত লয়’, ‘গাছ’ ও 'দূর্গা'।
সৌমিত্র - দীপা রেখে গেলেন কন্যা পৌমলী বসু ও পুত্র সৌগত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁরা দুজনেই শিল্প জগতের সঙ্গেই যুক্ত। ছেলেমেয়েদের কঠিন শাসনে বড় করেননি তাঁরা।
এর আগে আজতক বাংলায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পৌলমী বসু বলেছিলেন, " আমার বাবা-মা যেভাবে আমাদের বড় করেছেন, আমরা খুব একটা বকা খাই নি। আমি আর দাদা দুজনেই অন্য রকম ছিলাম। বাবা একটু গম্ভীর মুখ করলেই বুঝে যেতাম কাজটা বোধ হয় ঠিক হয়নি। আমি, দাদা এমনকি আমার ছেলে মেয়েও কখনও বকুনি খায়নি বাবা- মায়ের কাছে।"
তবে বরাবরই প্রচারের আড়ালে থাকতে পছন্দ করেছেন দীপা৷ শোনা যায় ফেলুদার জীবনের বহু সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদানও কম নয়।
সামলেছেন ব্যস্ত অভিনেতার ঘর৷ বর্ষীয়ান অভিনেতা চলে যাওয়ার পর থেকে ঘনঘন অসুস্থ হতেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত স্বামীর মৃত্যুর প্রায় ৪.৫ মাস পর তিনিও গত হলেন৷
ফেলুদার রিয়েল লাইফের সংসার সামলেছেন দীপা চট্টোপাধ্যায়। মা-বাবা বিয়োগে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন সৌমিত্র- দীপার সন্তানেরা।