ছোট পর্দা থেকে এবার বড় পর্দায় পা রাখছেন অভিনেতা শন ব্যানার্জী (Sean Banerjee)। ডেবিউ ফিচার ফিল্মেই জুটি বাঁধছেন অভিনেতা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) সঙ্গে। কবীর লাল পরিচালিত এই ছবির নাম 'অন্তর্দৃষ্টি' (Antardrishti)। এই ছবির শ্যুটিংয়ে দেরাদুনে রয়েছে টিম। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে আজতক বাংলার সঙ্গে কথা বললেন শন।
ডাঃ উজান চ্যাটার্জী ওরফে শন ব্যানার্জি অনেক মেয়েদেরই হার্টথ্রব। জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল 'এখানে আকাশ নীল' শেষ হওয়ার পর কিছুদিনের বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। এরপর 'তেরা মেরা রিস্তা' মিউজিক ভিডিয়োতে রিচা শর্মার সঙ্গে তাঁর প্রেমের রসায়ন নজর কেড়েছিল দর্শকদের। এবার সম্পূর্ণ নতুন রূপে শনকে দেখতে পারবেন দর্শকেরা বড়পর্দায় ডেবিউ করছেন তিনি।
স্প্যানিস ছবি 'জুলিয়াজ আইস' (Julia's Eyes) থেকে অনুপ্রাণিত 'অন্তর্দৃষ্টি'। রিভেঞ্জ থ্রিলারধর্মী এই ছবিতে বাংলার পাশাপাশি মারাঠি, তেলেগু এবং কন্নড় ভাষায়ও হবে। মূলত একটি অন্ধ মেয়ে, তাঁর বোনের মৃত্যুর প্রতিশোধ কীভাবে নেবেন সেই নিয়ে ছবির গল্প এগোবে। দিদি ও বোনের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দেরাদুন ও মুসৌরিকে শ্যুটিং লোকেশন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ছবিতে নিজের চরিত্রের বিষয়ে শন জানালেন,"আমি একজন অ্যান্টাগনিস্টের চরিত্রে অভিনয় করছি। বলা চলে একদম নেতিবাচক একটা চরিত্র। আমার জন্যে এটা একটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ, যেহেতু এই ধরনের অভিনয় আমি আগে খুব একটা করিনি।"
আরও পড়ুন: Farmers Protest: রিহানার কৃষক-সমর্থনের পর এবার কেন্দ্রের পাশে বলিউড! ট্যুইট অক্ষয়-অজয়-করণদের
শান্ত শিষ্ট ডাক্তার থেকে একেবারে ভিলেন! কতটা হোম ওয়ার্ক করতে হয়েছে তাহলে? এই প্রশ্নে শনের উত্তর, " আমার চরিত্রটা ভীষণ জটিল। সাধারণত মানুষের অনেক রকম অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে চরিত্রের অনুভূতিগুলো বোঝাও খুব কঠিন এবং এর অনেকগুলো লেয়ারআছে। যার জন্যে আমি অনেক পড়াশোনাও করেছি।"
ডেবিউতেই এত অভিজ্ঞ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ। সব মিলিয়ে কিরকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে? শনের কথায়, "আমরা যেহেতু কলকাতার আবহাওয়ায় অভ্যস্ত তাই দেরাদুনের এই ঠান্ডাতে শ্যুট করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে রাতের দিকে। তবে এত ভালো একটা টিমের সঙ্গে কাজ করছি, তাই কোনও কিছুই বিশেষ সমস্যা মনে হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের পরিচালক কবীর জি খুব ভালো। আর ঋতু দি তাঁর সব সহ অভিনেতাদের খুব সাহায্য করেন। আমার কাছে তিনি পরিবারের থেকে কম কিছু নয়। তাই সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে।"
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শ্যুটিং শেষ করে কলকাতায় ফিরবেন ছবির গোটা ইউনিট। বাংলা সিনেমায় এই ধরনের চরিত্র খুব একটা দেখা যায়নি বলেই দাবি শনের। তাই তিনি আশাবাদী দর্শকেরাও তাঁকে এবং এই ছবিকে সাপোর্ট করবেন।