Advertisement

Bishakh Jyoti: "মনে হচ্ছে জীবনের সেরা মুহূর্ত কাটাচ্ছি..." জাতীয় পুরষ্কার পেয়ে আবেগপ্রবণ উত্তর ২৪ পরগনার বিশাখ জ‍্যোতি!

Bishakh Jyoti: ৬৭ তম জাতীয় ফিল্ম পুরষ্কারে সেরা পরিচালকের সম্মান পেয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ছেলে বিশাখ জ্যোতি। ২০০৭ সালে গানের রিয়্যালিটি শো 'সারেগামাপা' -র মঞ্চ থেকে সঙ্গীতের যাত্রা শুরু হয় তাঁর।

জাতীয় পুরষ্কার জয়ী বিশাখ জ্যোতি জাতীয় পুরষ্কার জয়ী বিশাখ জ্যোতি
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 17 Nov 2021,
  • अपडेटेड 6:43 PM IST
  • ৬৭ তম জাতীয় ফিল্ম পুরষ্কার পেয়েছেন বিশাখ জ্যোতি।
  • উত্তর ২৪ পরগণা জেলার এই তরুণের ঝুলিতে এসেছে 'সেরা পরিচালক'-র সম্মান।
  • মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা।

মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু। ২০০৭ সালে গানের রিয়্যালিটি শো 'সারেগামাপা' (Sa Re Ga Ma Pa) -র মঞ্চ থেকে সঙ্গীতের যাত্রা শুরু। এরপর ছোট ছোট মাইলফলক ছুঁয়ে সোজা জাতীয় পুরষ্কার। কথা হচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ছেলে বিশাখ জ্যোতিকে (Bisakh Jyoti) নিয়ে। সম্প্রতি ৬৭ তম জাতীয় ফিল্ম পুরষ্কারে (67th National Film Award)  সেরা পরিচালকের ( Best Music Direction) সম্মান পেয়েছেন তিনি। 

'ক্রান্তি দর্শি গুরুজি - অ্যাহেদ অফ টাইম' (Kranti Darshi Guruji- Ahead of Times) ছবির জন্যে সেরা পরিচালকের সম্মান পান বিশাখ জ্যোতি। জীবনের প্রথম গুরু শম্ভু মুখোপাধ্যায়। এরপর কিছুদিন সঙ্গীত চর্চা করেন শঙ্কর মণ্ডলের কাছে।সঙ্গীত শিক্ষা নেন সঞ্জয় চক্রবর্তী ও রেশমী চক্রবর্তীর কাছেও। 'সারেগামাপা'-র মঞ্চে বিজয়ীর শিরোপা পাননি ঠিকই, দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি বিশাখ জ্যোতির কেরিয়ার। 

 

আরও পড়ুন

 
এর ঠিক পাঁচ বছর পর তিনি ফের অংশ নেন, হিন্দি 'সারেগামাপা'-র মঞ্চে। তবে এখানেও দ্বিতীয় স্থানেই থেমে যায় তাঁর এই শোয়ের যাত্রা। জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক জুটি সাজিদ -ওজিদের সঙ্গেও কাজ করেন তিনি। গোটা দেশ জুড়ে একাধিক শো থেকে ছবির প্লেব্যাক! এগিয়ে চান শিল্পী... শঙ্কর মহাদেবনের (Shankar Mahadevan) সঙ্গে কাজ করেছেন 'বাবলু হ্যাপি হ্যায়' ছবিতে। শঙ্কর মহাদেবনের সঙ্গে গাওয়া রাগাশ্রয়ী গান 'উঁহে বাটিয়া' (Uhe Batiya), বছরের সেরা রাগাশ্রয়ী গান হিসাবেও মনোনীত হয়। 

 

অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত বিশাখ জ্যোতি আজতক বাংলাকে জানান, "দেশের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে। প্রচুর মানুষের থেকে ভালোবাসা পাচ্ছি। বিভিন্ন গুণী মানুষেরা শুভেচ্ছাবার্তা দিচ্ছেন। এর একটা অন্য অনুভূতি, ঠিক বোঝাতে পারব না। মনে হচ্ছে জীবনের সেরা মুহূর্তটা কাটাচ্ছি আমি...।" 

শিল্পী আরও বলেন, "জাতীয় পুরষ্কার পাওয়ার আগেও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির প্রতি দায়িত্ব ছিল অনেকটাই। আমার মনে হয় সমস্ত সঙ্গীত শিল্পীদেরই এটা থাকা উচিত। তবে পুরষ্কার পাওয়ার পর যারা আমায় চিনবেন এবং শুনবেন, তাঁদের হতাশ করতে চাই না। যারা আমার ফ্যান, তাঁদের প্রতাশ্যা মতই কাজ করার চেষ্টা করব। তাঁদের প্রতি দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে।"

 

বিশাখ জ্যোতির কথায়, "সেই সঙ্গে আরও একটা ইচ্ছে আছে আমার, ইন্ডাস্ট্রি গুণীজনেরা কিংবা আমার গুরুরা যা শিখিয়েছেন, ইচ্ছে আছে পরবর্তী প্রজন্ম যারা মিউজিক নিয়ে কেরিয়ার করতে চান, তাদের সঙ্গে আমার সমস্ত শিক্ষা ভাগ করে নিতে চাই আমি। যে সমাজ থেকে আমি এতটা পেয়েছি, এটা ফিরিয়ে দেওয়া একটা বড় কর্তব্য বলে আমার মনে হয়। আর আরও ভাল কাজ উপহার দেওয়ার জন্য নিজের সঙ্গে লড়াইটা থাকবেই।"  

 

সম্প্রতি জি টিভির 'সারেগামাপা' -র মঞ্চে জ্যুরি বিচারক হিসাবে রয়েছেন তিনি। বলিউডের নামজাদা শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিশাখ জ্যোতি। তাঁর স্বপ্ন এ আর রহমানের সঙ্গে গান বাঁধার। আপাতত স্বপ্ন সার্থকে কঠোর পরিশ্রম করে, এগিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ।    

 

Read more!
Advertisement
Advertisement