Advertisement

Jaya Ahsan Exclusive: "ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার!" ঈদের প্রেম থেকে ছোটবেলার স্মৃতিচারণে জয়া আহসান

আজতক বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার ঈদের (Eid) স্মৃতিচারণ করলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। উঠে এল প্রেম থেকে পরবর্তী কাজের কথা। এপার ও ওপার দুই বাংলার ছবিতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার জন্যে, দর্শকের একেবারে মনের কাছের হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী।

জয়া আহসান (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 14 May 2021,
  • अपडेटेड 12:43 PM IST
  • দুই বাংলার ছবিতেই দর্শকদের মন জয় করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
  • এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার ঈদের স্মৃতিচারণ অভিনেত্রীর।
  • উঠে এল প্রেম থেকে পরবর্তী কাজের কথা। 

এপার ও ওপার দুই বাংলার ছবিতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার জন্যে, দর্শকের একেবারে মনের কাছের হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। ছবি থেকে চরিত্র, বেছে নেওয়াতে সব সময় থাকে নতুনত্ব। বারে বারে ভিন্ন স্বাদ দর্শকদের সামনে পরিবেশন করেছেন নায়িকা।

আজ খুশীর ঈদ (eid-ul-Fitr)। তবে ২০২০ সাল থেকে অন্যান্য অনেক উৎসবের মতো ভাটা পড়েছে ঈদের আনন্দও। আজতক বাংলার (Aajtak Bangla) সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ছোটবেলার ঈদের স্মৃতিচারণ করলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান। উঠে এল প্রেম থেকে পরবর্তী কাজের কথা। 

প্রশ্ন: ঈদ কতটা স্পেশাল? 

জয়া:  ঈদ মানেই মূলত সবাই একসঙ্গে দেখা করা এবং হাতে হাত মিলিয়ে চলা। একমাস ধরে রোজা পালন করার পর ঈদ আসে। আনন্দটাই একেবারে অন্য রকম। কিন্তু কোভিডের কারণে গত বছরও এরকমই ছিল। এই বছরেও দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এরকম পরিস্থিতিই রয়েছে।


প্রশ্ন: এইবার তো পরিস্থিতি একটু বিষাদময়। আপনার বিশেষ প্ল্যান কী?

জয়া: এবার আমি বাড়িতেই থাকবো। খুব কাছের দু-একজন হয়তো আসবেন। ঈদের সব শুভেচ্ছা সকলকে অনলাইনেই জানাচ্ছি।


প্রশ্ন: ছোটবেলার কোন স্মৃতিটা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে? 

জয়া: ঈদের সবচেয়ে বড় স্মৃতি হল 'ঈদি' অর্থাৎ সালামি। বড়দের সালাম করে একটা খুব ভাল ঈদি পেতাম ছোটবেলায়, ওটা সবচেয়ে ভাল লাগার জায়গা ছিল। সব সময় নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে যত ছোটই হোক না কেন আমাদের সঙ্গে সাইডে একটা ব্যাগ থাকতো। চেনা পরিচিত যাকেই সামনে পেতাম, এমনকি অচেনাও যদি কাউকে পেতাম, যে হয়তো অন্য কারও পরিচিত তাঁকেও টুক করে সালাম করে নিতাম।  (হেসে) তখন সে আমাদের ঈদি দিতে বাধ্য থাকতো। সেরকম করে অনেক টাকা জমে যেত আমাদের। ঈদের দিনই শুধু বাইরের কোনও জিনিসে বারণ থাকতো না। তাই মূল আকর্ষণ ছিল ঈদির টাকা দিয়ে আইসক্রিম,কদবেল বা অন্যান্য ষ্ট্রীট ফুড খাওয়া। নিজের টাকা দিয়ে কিনে খেতে পারতাম, তখন নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হতো।

Advertisement

প্রশ্ন: এখন আর ঈদি মেলেনা? 

জয়া: না এখন তো আর কেউ সেভাবে ঈদি দেয় না। (জোড়ে হেসে) উল্টে আমাদের দিতে হয় অন্যদের। তবে হ্যাঁ কয়েজনের থেকে অবশ্য পাই। যেমন মায়ের কাছ থাকে পাই, বা বড় যারা আছেন তাঁরা দেয়। কিন্তু বেশীরভাগ জিনিসটা উল্টে গেছে। 

 

প্রশ্ন: ঈদের কোন খাবারটা সবচেয়ে প্রিয়? 

জয়া: মায়ের হাতের পোলাও - মাংস। মানে এক রকমের সাদা পোলাও রান্না করেন মা আর চিকেন রোস্ট। আসলে আমাদের নানা রকম রান্নাবান্না হয়। এমনকি আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় সে সব। বাড়ির আশেপাশে যারা আছেন, আমাদের বাড়িতে যারা বিভিন্ন সাহায্য করেন, তাঁদের সকলের বাড়িতে খাবার পাঠানো হয়। মা সেগুলো রান্না করে পাঠান। এছাড়া একটা সিমুই রান্না করেন মা... দুধ, জাফরন, ঘি দিয়ে খুবই উপাদেয় একটা মিষ্টি পদ। সেটাও ঈদের স্পেশাল। 

 

প্রশ্ন: এই বছর আপনি কী রাঁধছেন তাহলে? 

জয়া: (জোড়ে হেসে) আমি কোনও রান্না করছি না এবার । এই বছর মা সব রান্না করছেন। 

 


প্রশ্ন: বিশেষ অনুষ্ঠান মানেই প্রেম। ঈদে জীবনে প্রেম এসেছে কোনও?

জয়া: হ্যাঁ ঈদের দিনই একমাত্র দিন যেদিন সকলে বেরতে পারে। প্রেমিক -প্রেমিকারা সকলে দেখা করেন এদিন। এই চলটা সত্যিই আছে এখানে। আমরাও করেছি... (হেসে) আবার এরকমও হয়েছে যে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করা হয়নি। অথচ বন্ধুরা কেউ দেখা করতে গেছে, সঙ্গে আমরা অনেকে মিলে গেছি। আর বাড়িতেও বলে বেরিয়েছি যে, বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছি। 


প্রশ্ন: এই মুহূর্তে কর্ম ব্যস্ততা কতটা রয়েছে? 

জয়া: অনেকগুলো কাজ রয়েছে। দু-তিনটে ছবির ডাবিং বাকি আছে। বেশ কয়েকটি কাজ শুরু হওয়ার কথা আছে। ঢাকায়ও আমার দু-তিনটে ছবির ডাবিং বাকি রয়েছে। আর যেহেতু বর্ডার বন্ধ এবং এই রকম একটা পরিস্থিতি তাই কলকাতায়ও যেতে পারছি না।

প্রশ্ন: দর্শকদের কোনও বিশেষ বার্তা দিতে চাইবেন ঈদে?

জয়া: আমার সকল ভক্ত, দর্শক, বন্ধুদের ঈদের অনেক শুভেচ্ছা। ঈদ সব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়। আমি সব সময় মনে করি ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। আমাদের ঈদটাও ঠিক সেরকম। এটাই চাইবো যে পৃথিবীর সব কোণায় শান্তি নেমে আসুক। যা কিছু খারাপ হচ্ছে, সব ভাল হয়ে যাক। আর মন থেকে চাইছি এই অতিমারী পৃথিবী থেকে সৃষ্টিকর্তা তুলে নিয়ে যাক। 
 

আরও পড়ুন: ঈদ মোবারক! WhatsApp, Facebook, Instagram-এ সকলকে জানান উইশ বার্তা 

আরও পড়ুন: মাত্র ১০ মিনিটে বানিয়ে ফেলুন লাচ্ছা সেমাই, জানুন রেসিপি

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement