চিনের করোনারা মারণ ছোবল জারি। এরই মাঝে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, চিনের তৃতীয় জনঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হেনান প্রদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। হেনানের স্বাস্থ্য আধিকারিক এই তথ্য দিয়েছেন। এর আগে প্রথম ঢেউতে চিনের উহান প্রদেশে একইভাবে তাণ্ডব চালিয়েছিল করোনা। বিশ্বে করোনার প্রথম কেস পাওয়া যায় উহানেই।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র তথ্য় অনুযায়ী হেনান প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক কান কোয়ানচেং এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে গত ৬ জানুয়ারি, হেনানে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৮৯.০ শতাংশ। অর্থাৎ হেনানে ৯.৯৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৮.৮৪ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন।
চিনে করোনার চমকে দেওয়া ছবি
লাগাতার বিরোধিতার পর গত মাসে জিরো কোভিড পলিসি সমাপ্ত করেছে চিন। এরপর থেকে চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এমনকি চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
করোনার জেরে চিনের হাসপাতালগুলিতে লম্বা লাইন। অনেক শহরের হাসপাতালে বেড খালি নেই। ওষুধেরও ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বেজিংসহ বেশকয়েকটি অঞ্চলের থেকে মর্মান্তিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সৎকারস্থলগুলিতেও দীর্ঘ লাইন। এদিকে এত কিছুর পরও সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে চিন। আর শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের নিয়মও বাতিল করা হয়েছে।
বিশ্বে করোনার চিত্র
গত ১ সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনার ২,৯১৪,৯০৮টি কেস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেস জাপানে পাওয়া গেছে। গত ১ সপ্তাহে জাপানে করোনার ১,১৭৪,১১০টি কেস পাওয়া গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪০৩,৮০০, আমেরিকায় ১৮৭,৮১৪ টি, তাইওয়ানে ১৮২,৪৪৩টি কেস পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, গোটা বিশ্বে গত এক সপ্তাহে করোনায় ১১ হাজার ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ দিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জাপানে। সংখ্যাটা ২,৩০৯। এছাড়া আমেরিকায় ১ হাজার ৩৭২ জন, জার্মানিতে ১ হাজার ২২৩ জন, ফ্রান্সে ৬০১ জন, ব্রাজিলে ৯৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন - সংক্রান্তির আগেই মকরের মেজাজ, বাউলের সুরে মাতোয়ারা বাগনান