Advertisement

ভারতে করোনার ভয়াবহ অবস্থায় দায়ী দেশীয় 'ভ্যারিয়ান্ট'?

NCDC-এর রিপোর্ট অনুসারে ভারতে নোবেল করোনা ভাইরাসের নয়া "ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট" পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল নয়া এই ভ্যারিয়ান্টের কারণেই কি ভারতে সংক্রমণ এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে? এই ভ্যারিয়ান্টের নাম দেওয়া হয়েছে B.1.617। এখনও পর্যন্ত ৮টি দেশে পাওয়া গিয়েছে এই ভ্যারিয়ান্ট। বিশেষজ্ঞরা নয়া ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনকে দেশীয় ভ্যাারিয়ান্ট হিসেবে বলছেন। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 15 Apr 2021,
  • अपडेटेड 6:44 PM IST
  • দেশে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি
  • নেপথ্যে কি দেশীয় 'ভ্যারিয়ান্ট'?
  • পড়ুন বিস্তারিত তথ্য

ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (NCDC) রিপোর্ট অনুসারে ভারতে নোবেল করোনা ভাইরাসের নয়া "ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট" পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল নয়া এই ভ্যারিয়ান্টের কারণেই কি ভারতে সংক্রমণ এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে? এই ভ্যারিয়ান্টের নাম দেওয়া হয়েছে B.1.617। এখনও পর্যন্ত ৮টি দেশে পাওয়া গিয়েছে এই ভ্যারিয়ান্ট। বিশেষজ্ঞরা নয়া ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনকে দেশীয় ভ্যাারিয়ান্ট হিসেবে বলছেন। 

এই প্রসঙ্গে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিবেদী স্কুল অফ বায়োসায়েন্সেসের পরিচালক তথা ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল জানাচ্ছেন, "E484K নামে আরও একটি মিউট্যান্ট আছে। সেটারই হালকা ভ্যারিয়েশন হল ভারতীয় ভ্যারিয়ান্টের অংশ। যে ডবল ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে ভারতে আলোচনা হচ্ছে তাতে ১৫টি পৃথক মিউটেশন আছে। এর মধ্যে ২টি জটিল মিউটেশন পাওয়া গিয়েছে। তার একটি পাওয়া গিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। এর থেকেই দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। আর যদি এমনটা সেখানে হতে পারে তাহলে ভারতে কেন হতে পারে না?"

শাহিদ জামিল আরও বলেন, "যদি উহানে মেলা ভাইরাসের সঙ্গে এর তুলনা করা হয় তবে দেখা যাবে প্রায় ১৫টি পরিবর্তন এসেছে। সক্রিয়তার দিক থেকেও বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে ৩টি পরিবর্তন স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত। এই প্রোটিনের মাধ্যমেই মানবদেহের কোষে প্রবেশ করে ভাইরাসটি। এর বিরুদ্ধেই অ্যান্টিবডি ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকায়। যখনই এটার পরিবর্তন হয় তখনই প্রতিষেধক ক্ষমতা কমে যায়। যার জেরে আরও বেশি করে মানবদেহের কোষে আক্রমণ করার সুযোগ পেয়ে যায় ভাইরাসটি।"  

এই ধরনের ভ্যারিয়ান্টের ওপরে কি ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে?
কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড দুটোকেই ইউকে ভ্যারিয়ান্টের ওপরে প্রয়োগ করা হয়। দেখা যায় দুটিই কার্যকরী। শাহিদ জামিল জানাচ্ছেন, "রোগ প্রোতিরোধ ক্ষমতা বা প্রতিষেধক ভাইরাসের একাধিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অ্যান্টিবডির ওপর নির্ভর করে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা টি-সেলের ভিত্তিতেও কাজ করে, যা আদতে সংক্রমিত কোষগুলিকে হঠিয়ে দেয়।" জামিল আরও বলেন, "কোনও ভ্যাকসিনই পরীক্ষিত নয় বলে মানুষের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারনা আছে। সমস্ত ভ্যাকসিনই রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।" 

Advertisement

আইএলবিএস (ILBS) হাসপাতালের প্রধান তথা দিল্লি সরকারের মুখ্য পরামর্শদাতা এস কে সরিন বলেন, "ভারতে যে স্ট্রেন রয়েছে তা দক্ষিণ আফ্রিকা, উইকে এবং ব্রাজিলিয় স্ট্রেনের একটা হাইব্রিড। আমরা একটি বা দুটি স্ট্রেন পেয়েছি যাদের ডবল মিউট্যান্ট বলা হচ্ছে। কোভিসিল্ডকে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্টের ওপরে প্রয়োগ করা হয়েছিল তখন তা জলের চেয়ে ভাল কিছু ছিল না।" 

ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশীয় মিউট্যান্টের ভূমিকা
মিউটেশন ভাইরাসের চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মিউট্যান্ট ভ্যারিয়ান্ট খোঁজা হয়েছে। এই বিষয়ে এস কে সরিন জানাচ্ছেন, "যদি কেউ প্রথমে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সংক্রমণও হতে পারে।" 

ভ্যাকসিন কি মিউটেশনের ওপরে কাজ করছে না?
এই ধরনের ভ্যারিয়ান্টের ওপরে ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না তা জানার জন্য ভারতে গবেষণা চলছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ্যে আসতে পারে। সেন্টার ফর সেলুলর এন্ড মলিকিউলর বায়োলজির নির্দেশক রাকেশ কে মিশ্র জানাচ্ছেন, "ভাইরাসের মিউট্যান্ট জারি থাকতে পারে এবং এর ফলে নতুন ভ্যারিয়ান্টও উৎপন্ন হতে পারে। কোনও কোনও ভ্যারিয়ান্টে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অধিক ক্ষমতা থাকে। তখন সেটি অন্য ভাইরাসের জায়গা নিয়ে নেয়। এটা একটা সাধারণ প্রক্রিয়া।" 

তাহলে কি ডবল মিউট্যান্ড ভ্যারিয়ান্টে ভ্যাকসিনের থেকে বাঁচার ক্ষমতা রয়েছে? উত্তরে রাকেশ কে মিশ্র  বলেন, "তা জানা নেই। সম্ভবত নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে নয়া ভ্যারিয়ান্ট আরও বেশি বিপদে ফেলবে না এমন গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়।"

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement