আরও কমল পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৬৮ জন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৪ জন। ১০০-র অনেকটাই নীচে নেমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মঙ্গলবার রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থতার হারও বেড়েছে। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৭.৪৭ শতাংশ। যার নির্যাস, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডব ধীরে ধীরে কমছে। একই সঙ্গে রাজ্যে টিকাকরণের হারও দ্রুততার সঙ্গে চলছে। মঙ্গলবার রাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছএ ৫৫ হাজার ৬৪৫ জনকে। ঠিক একমাস আগে, গত ১৫ মে রাজ্যের, দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১৯ হাজার ৫১১। মৃতের সংখ্যা ১৪৪। ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, গত একদিনে উত্তর ২৪ পরগণা ও কলকাতা দৈনিক করোনা সংক্রমণ যথাক্রমে ৪৬৫ ও ৩৭০। তবে দুই জেলায় এই সময়পর্বে যথাক্রমে ২৩ ও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে মারণ ভাইরাসের জেরে।
বিধি নিষেধ কিছুটা আলগা করলেও কড়াকড়ির মেয়াদ পয়লা জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের সব সরকারি অফিসের ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাইভেট, কর্পোরেট অফিস সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মী নয়। উদ্যানে প্রার্তভ্রমণ, ব্যায়ামের জন্য সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে পার্কে মর্নিংওয়াকের জন্য টিকাকরণ সার্টিফিকেট আবশ্যিক। দু'টি ডোজই নিতে হবে।
খুচরো, বাজারহাট, দোকান সকাল ৭টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। এর মধ্যে সবজি, দুধ, ডিম, মাংসের দোকান পড়ছে। অন্যান্য দোকান খোলা থাকবে সকালে ১১টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। রেস্তোরাঁ, হোটেল, বার বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে। ৫০ শতাংশ উপস্থিতি। শপিংমলে খুচরো দোকান ১১টা থেকে ৬টা পর্যন্ত। কর্মী ২৫ শতাংশের বেশি থাকতে পারবেন না। সেইসঙ্গে সেখানে ৩০ শতাংশের বেশি গ্রাহক বা ক্রেতাকে ঢোকানো যাবে না।