Omicron: এখন সবার একটাই চিন্তা বলা যেতে পারে। আর তা হল কোরনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন (Omicron Variant Of Coronavirus)-এর সংক্রমণ। চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের কাছে রোজ নতুন নতুন তথ্য আসছে।
হু (WHO) জানিয়েছে, ওমিক্রন (Omicron) করোনাভাইরাস (Coronavirus)-এর অন্য যে কোনও প্রজাতির থেকে বেশি ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উপসর্গ কী কী, সেগুলো নজর রাখা দরকার। এখানে গাফিলতি হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
আর তাই তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, কোনও রকম উপসর্গ থাকলে তা নিয়ে মোটেই অবহেলা করবেন না। ইতিমধ্যে তাঁরা ওমিক্রন (Omicron)-এর নতুন এক উপসর্গের ব্য়াপারে জানতে পেরেছেন। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ নজর দেন না।
কী সেই অদ্ভুত লক্ষণ
করোনার সবথেকে সাধারণ লক্ষণ হল স্বাদ আর গন্ধ না পাওয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে জ্বর, গলা খুসখুস আর শরীরে ব্যথা। তবে দেখা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের সবার মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মাত্র ৫০ শতাংশ রোগীদের জ্বর, কফ এবং স্বাদ-গন্ধ চলে গিয়েছে।
তবে ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে একটা জিনিস অনেক ক্ষেত্রেই কমন পাওয়া যাচ্ছে। আর তা হল খিদে না পাওয়া। আপনার যদি অন্য উপসর্গের পাশাপাশি এই জিনিসটি মানে খিদে না পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এবং জলদি পরীক্ষা করে নেওয়ার দরকার।
ভারতে করোনার কেস
এখনও পর্যন্ত ভারতে ১,৭০০ জন করোনার ওমিক্রন ভ্য়ারিয়্যান্ট (Omicron Variant Of Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসর্টিয়াম (INSACOG) জানিয়েছে, ভারতে এখনও করোনা সংক্রমণের হার, ইমিউনিটি এবং গভীরতার ব্য়াপারে ঠিকঠাক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তারা (INSACOG) নিজেদের বুলেটিনে জানিয়েছে, এখন ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট দুনিয়ার মানুষের কাছে চিন্তার বিষয়। আর এরই মাঝে ওমিক্রন নিজের সংক্রমণের হার বাড়িয়ে তুলছে।
এ ব্যাপারে তারা (INSACOG) আরও জানাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একের পর এক কেস পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম। ব্রিটেনের জিনোম সিকোয়েন্সে পাওয়া গিয়েছে যে এ-জিন টার্গেট ফ্লোয়ারের কারণে ওমিক্রনের কেস বেশি হচ্ছে।