Uttar Pradesh: এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের। যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। আর তারপর শুরু হয়েছে প্রবল সমালোচনা।
সিরসাগঞ্জ থানার ৪ পুলিশকর্মীর নাম জড়িয়েছে। তারা চোরের থেকে টাকা হাতিয়েছে। আর তারপর অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। চোরেদের কাছ থেকে নিয়েছে ৯৬ হাজার টাকা।
কথায় বলে, রক্ষকই ভক্ষক। এ যেন তা সত্যি প্রমাণিত হল। সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
তবে মজার কথা হল, ওই চোরেরা ফের ধরা পড়ায় জানা গিয়েছে এই রহস্য।
১৫ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানকার এক ব্যবসায়ী ই-রিক্সায় চেপে বিভিন্ন দোকানে মাল পৌঁছে দিচ্ছিলেন। তারই এক ফাঁকে ই-রিক্সাচালক এবং ওই ব্য়বসায়ী রসুলপুরে পৌঁছন। সেখানে এক দোকানে মাল দেওয়ার কথা ছিল।
তিনি ই-রিক্সা থেকে নামেন। আর এরই মধ্যে সুযোগ বুঝে চোর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চুরি করে পালায়।
তারপর ওই ব্য়বসায়ী হাজির হন রসুলপুর থানায়। তিনি সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন।
বলা যেতে পারে সিসিটিভি ফুটেজ কাল হল চোরের। সিসিটিভি দেখে ধরা পড়েছে চোর। দেখা যায়, সেখানে ছিল দু'জন চোর। একজনের নাম প্রিয়াংশু আর অন্যজনের নাম ওমবীর। এরপর পুলিশ তাদের আর কোনও সুযোগ দেয়নি। তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আর তখনই জানা যায় সেই রহস্যময় কথা।
চোরেরা জানিয়েছে, যখন ১৫ অক্টোবর তারা চুরি করে পালাচ্ছিল, তখন সিরসাগঞ্জ পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তারা তো ভেবেছিল, হয়ে গেল। এবার যেতে হবে থানায়।
তখন ওই কথা জানায় তারা। তা শুনে তো তাজ্জব পুলিশ। তারা জানায়, ১৫ অক্টোবর তারা চুরি করে পালানোর সময় ধরে ফেলে পুলিশ। আর তল্লাশির সময় তাদের কাছে টাকা ছিনিয়ে নেয়। চোরেরা বলে, তারা ১ লক্ষ টাকা রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছে। তবে সেখান থেকে ৯৬ হাজার টাকা নিয়ে নেয় পুলিশ।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। রসুলপুর থানা সিরসাগঞ্জ থানায় খোঁজ নেয়। সিরসাগঞ্জ থানার সুনীল চন্দ্র, রাজেশ কুমার, সুরেন্দ্র কুমার এবং বিষ্ণু বালকৃষ্ণ চোরেদের থেকে টাকা হজম করে নিয়েছিল। এই কথা এসএসপি অশোককুমার শুক্লার কাছে যায়। তাদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। পরে পাঠানো হয় জেলে।