Advertisement

Fake Vaccination : রাজ্যে ফের ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের হদিশ, টিকা নিয়েও এল না মেসেজ!

ফের রাজ্যে হদিশ মিলল ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের। এক্ষেত্রে অনেকটাই আগের মতোই অভিযোগ সামনে এসেছে। কোনওরকম অনুমোদন ছাড়া প্রায় জনা ৪০ জনকে  টিকা গিয়েছে বলে অভিযোগ। যারা টিকা নিয়েছেন, তারা মেসেজও পাননি। কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের পর এবার বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের হদিস মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।

হাতেনাতে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত।
প্রসেনজিৎ সাহা
  • সোনারপুর,
  • 24 Jul 2021,
  • अपडेटेड 7:25 PM IST
  • রাজ্যে ফের ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের হদিশ
  • টিকা নিয়েও এল না মেসেজ
  • তদন্ত শুরু পুলিশের

ফের রাজ্যে হদিশ মিলল ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের। এক্ষেত্রে অনেকটাই আগের মতোই অভিযোগ সামনে এসেছে। কোনওরকম অনুমোদন ছাড়া প্রায় জনা ৪০ জনকে  টিকা গিয়েছে বলে অভিযোগ। যারা টিকা নিয়েছেন, তারা মেসেজও পাননি। কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের পর এবার বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের হদিস মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। সোনারপুরের রূপনগরে বেআইনি ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে মিঠুন মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোনারপুর থানার রূপনগরে মিঠুন মণ্ডল বেশ কিছু মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দিচ্ছিল। তিনি পেশায় সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রাম প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত। তবে মশাট সাবসেন্টারের ভ্যাকসিন কো- অর্ডিনেটর ছিলেন। অভিযোগ সোনারপুরের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দিয়েছেন মিঠুন। জানা গিয়েছে ,এখনও পর্যন্ত  কমপক্ষে চল্লিশ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন তার কাছ থেকে। এর বিনিময়ে টাকাও নিয়েছেন মিঠুন। কারোর কাছ থেকে ৩০০/৪০০ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা কয়েকজন ম্যাসেজ পেলেও সবাই পানি বলে দাবি।

সোনারপুর থানার পুলিশ এদিন সেই বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দু ভায়েল ভ্যাকসিন উদ্ধার করেছে। ভ্যাকসিন আসল কিনা তা জানতে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যদফতরের সাথে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। সোনারপুর থানার অভিযোগ পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদের অনুমান মিঠুন নয়, আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে এই ঘটনায়। তবে উদ্ধার হওয়া ভ্যাকসিন আসল বলেই প্রাথমিক অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের। কিন্তু তা সঠিক ভাবে সংরক্ষন করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে চল্লিশ জনের নাম ভ্যাকসিন গ্রহিতা হিসেবে পাওয়া গিয়েছে, তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটি।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement