Advertisement

মালদায় প্রতিবন্ধী বধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ, পলাতক শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

প্রায় চার বছর আগে ইংরেজবাজারের জোত আরাপুর এলাকার বাসিন্দা অশোক কুমার সিংহর মেয়ে অর্পিতা সিংহর সঙ্গে মালদা শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ দাসের ছেলে শুভদীপ দাসের বিয়ে হয়। স্পষ্ট করে কথা বলতে পারতো না অর্পিতা। সেই সময় ছেলেকে প্রায় সাত লক্ষ টাকা নগদ ও ৬ ভরি সোনা দিয়ে বিয়ে দেয় অর্পিতার পরিবার।

প্রতীকী ছবি
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 23 Mar 2022,
  • अपडेटेड 1:41 PM IST
  • অতিরিক্ত পণের দাবি
  • গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ
  • মালদার ইংরেজবাজারের ঘটনা

শ্বশুর বাড়ির দাবিমতো অতিরিক্ত পণ দিতে না পারায় এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠান হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  

জানা গিয়েছে, প্রায় চার বছর আগে ইংরেজবাজারের জোত আরাপুর এলাকার বাসিন্দা অশোক কুমার সিংহর মেয়ে অর্পিতা সিংহর সঙ্গে মালদা শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ দাসের ছেলে শুভদীপ দাসের বিয়ে হয়। স্পষ্ট করে কথা বলতে পারতো না অর্পিতা। সেই সময় ছেলেকে প্রায় সাত লক্ষ টাকা নগদ ও ৬ ভরি সোনা দিয়ে বিয়ে দেয় অর্পিতার পরিবার। কিন্তু তার পরেও মাঝে মধ্যেই অতিরিক্ত টাকা পয়সার দাবি এবং মেয়ের বাবার বাড়ির সম্পত্তি ভাগ করে ছেলের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। অর্পিতা প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর, এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের।

অভিযোগ, মঙ্গলবার অশান্তি চরমে পৌঁছলে অর্পিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এরপর মেয়ের পরিবারকে ফোন করা হয় যে সে অসুস্থ। তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মালদা মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছতেই ছেলের পরিবারের লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এর কিছু সময় পর মৃত্যু হয় মেয়েটির। এই ঘটনায় অর্পিতার স্বামী শুভদীপ দাস, শ্বশুর দিলীপ দাস ও শাশুড়ি সীমা দাসের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

আরও পড়ুনআজ ফের বাড়ল তেলের দাম, আপনার শহরে কত?

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement