Hooghly: ফিল্মি কায়দায় রেইকি করে তিনটি বহুতল বিল্ডিংয়ে চুরি। সব মিলিয়ে চারটি ফ্ল্যাটে তালা চাবি ভেঙে লক্ষাধিক টাকার চুরি। চোরের জিনিসপত্র নিয়ে পলাতক। লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে ধাঁ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শ্রীরামপুরের সুভাষনগরে
শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত শ্রীরামপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত সুভাষনগর হাউজিং কমপ্লেক্সে তিনটি বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটে চুরি হয়েছে। খোয়া গিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। তা নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ভরসা সিসিটিভি
পুলিশ ফ্ল্যাটের বাইরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ফুটেজও পরীক্ষা করছে। যাতে চোরদের শনাক্ত করা যায়। এমন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাউজিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা। ফ্ল্যাটের বাড়ির মালিকরা তাঁদের পুরো পরিবার নিয়ে কোনও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন।
দক্ষ হাতের কাজ
একই ফ্ল্যাটে চিহ্নিত করে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়। ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ঘরে রাখা লোহার আলমারির তালা ভেঙে তাতে রাখা নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। ভোররাতের দিকে চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাসিন্দাদের দাবি
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভা মেহতা নামে এক বৃদ্ধ মহিলা জানান যে তিনি ২৩ বছর ধরে বসবাস করছেন। এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। একের পর এক ফ্ল্যাটে পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতি হয়।
ফ্ল্যাটে বসবাসকারীদের বাড়ির দরজায় কিছু লোক তাদের তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। যাতে চোরদের কোনও ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে না হয়। তাঁর কথা যদি বিশ্বাস করা হয়, চুরিটি হয়েছে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে, তালা ভাঙার শব্দ কেউ শুনতে পায়নি।
বাসিন্দাদের অভিযোগ
বাড়িতে চুরি হয়েছে এমন একজন রঞ্জিতকুমার আর্য। জানান, তিনি তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে বিধাননগরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সকালে তিনি খবর পান তাঁর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা। মনে হচ্ছে কেউ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চোরদের তথ্য দিয়েছে। অভিযোগ তাঁর।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এমন একজন তথ্যদাতা আমাদের সবার মাঝেই থাকতেন এবং ফ্ল্যাটের বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতির তথ্য চোরদের কাছে শেয়ার করেছিলেন। তারপর একের পর এক পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, এই কমপ্লেক্সে মোট ২৮টি ভবন রয়েছে। একটি ভবনে ২৪ থেকে ২৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এখানে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে নিরাপত্তা প্রহরীও থাকার পরও এ চুরির ঘটনায় কমপ্লেক্স ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তিনি দাবি করেন, পুলিশের উচিত যত দ্রুত সম্ভব দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া এবং চোরদের খুঁজে বের করা। এদিকে, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উত্তরপাড়া থানার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি হাউজিং কমপ্লেক্সে একই রকম চুরির ঘটনা ঘটেছে দিন কয়েক আগে।
রবিবার রিষড়া স্টেশন সংলগ্ন চার নম্বর রেলগেট সংলগ্ন হাউজিং কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে ওই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা, দেখা হচ্ছে।