উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (Uttar Pradesh Prayagraj) ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বেআইনি অস্ত্র নিয়ে স্কুলে পৌঁছাল দশম শ্রেণির পড়ুয়া। যদিও স্কুলে চেকিংয়ের সময় বিষয়টি নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রকে পুলিশের কাছে নিয়ে যার স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই অস্ত্রের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বছর ১৫-র ওই ছাত্র দশম শ্রেণির ছাত্র। তার ব্যাগেই ছিল ওই বেআইনি অস্ত্র (Illegal Firearms)। সে স্কুলে যাওয়ার পর চেকিং শুরু হতেই ব্যাগ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ঘটনায় স্কুল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এরপরেই তাকে থানায় নিয়ে যান শিক্ষকেরা।
এই বিষয়ে, থানার ইন-চার্জ অশোক কুমার জানাচ্ছেন, ওই ছাত্রকে অস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে একটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রকে কোনও একটি বিষয়ে প্রচণ্ড বকাবকি করেন ও শাস্তি দেন এক শিক্ষক। যার জেরেই পাল্টা ওই শিক্ষককে হুমকি দিতে স্কুলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল সে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, অন্য একজনের থেকে ওই অস্ত্র কিনেছিল ছাত্রটি। এরপর দুজনকেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ঝাড়খণ্ডেও (Jharkhand) প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। গোপিকান্দার তফসিলি উপজাতি আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহকারী শিক্ষক কুমার সুমন ও কেরানি সোনেরামকে আম গাছে বেঁধে মারধর করে। কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর কুমার সুমন গোপিকান্দরে পৌঁছে নিজের চিকিৎসা করান। ছাত্ররা মারধরের একটি ভিডিও-ও তৈরি করে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনায় পড়ুয়াদের দাবি, তাদের প্র্যাকটিক্যালে নম্বর দেওয়া হয়নি। যার জেরে তারা ফেল করেছে। আর সেই কারণেই তারা ওই দুজনকে মারধর করেছে।
আরও পড়ুন - একাধিক গ্রহের স্থান পরিবর্তন, পুজোর আগে কঠিন সময় এই ৫ রাশির