Advertisement

খাস কলকাতায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রায় ২১ লাখের প্রতারণা, গ্রেফতার ৬

সম্প্রতি একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নুর আলম নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দিয়ে কিছু দিন ধরেই ফোন করা হচ্ছিল তাঁকে। বেশ কয়েকজন দফায় দফায় তাঁকে ফোন করে। বিস্তারিত কথাও হয় তাদের মধ্যে। অভিযোগ, এরপর তাঁর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Sep 2022,
  • अपडेटेड 3:19 PM IST
  • মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে প্রতারণা
  • ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
  • এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৬

প্রায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ৬। এবার মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল একবালপুরে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়ছে। এর নেপথ্যে বড় কোনও চক্র জড়িয়ে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নুর আলম নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দিয়ে কিছু দিন ধরেই ফোন করা হচ্ছিল তাঁকে। বেশ কয়েকজন দফায় দফায় তাঁকে ফোন করে। বিস্তারিত কথাও হয় তাদের মধ্যে। অভিযোগ, এরপর তাঁর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।

নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে প্রথমে মনোজ গগৈ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর অভিযোগকারীর ফোনে যে যে নম্বর থেকে কল এসেছিল সেগুলির লোকেশন ধরেও শুরু হয় তদন্ত। তাতে জানা যায়, সেক্টর ফাইভের একটি কল সেন্টার থেকে এসেছিল ফোনকলগুলি। এরপরেই ওই কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় আরও পাঁচ জনকে। 

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এটি একটি বড় প্রতারণা চক্র। মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে বিভিন্ন জনকে ফোন করা হয়। তারপর ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে পুলিশ-প্রশাসনের  তরফে প্রায়শই চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান। কিন্তু তারপরেও ঘটে যাচ্ছে এই ধরনের ঘটনা।

আরও পড়ুন - এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই 'যৌন অপরাধী'


 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement