Kolkata Police: সরকারি চাকরি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। নাম তারক চক্রবর্তী। অভিযুক্ত পরিবহণ দফতরে কাজ করত।
আরও ৩
পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানেই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তি ছাড়াও আরও ৩ জন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ।
তারকের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার পর সে কলকাতার বেহালারা বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার পিয়ালি এলাকায় পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পিয়নের কাজ করত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে অবসর নিয়েছিল ওই ব্যক্তি। সে পরিবহণ সচিবের পিয়ন হিসেবে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। সুপ্রিয়া মান্না নামে এক মহিলা তারক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরও তিনজনের নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন চারু মার্কেট থানায়। সুপ্রিয়াদেবীর বাড়ি কলকাতার টালিগঞ্জ এলাকায়। ২০১৬ সালে তিনি ওই টাকা দিয়েছিলেন।
পর্ণশ্রী ছেডে পালিয়ে
অভিযোগ, ধৃত ব্যক্তি ৭ লক্ষ টাকা নেন সুপ্রিয়া দেবীর ছেলে ও ভাইঝিকে পরিবহণ দফতরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য। মোট ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল ধাপে ধাপা। সেই টাকা প্রতারণা করে অভিযুক্ত নিজের পর্ণশ্রীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পর্ণশ্রীর উপেন ব্য়ানার্জি রোডে থাকত সে।
তাদের বিরুদ্ধে জাল নথি তৈরি করার অভিযোগও রয়েছে। ওই মহিলার কাছ থেকে টাকা হাতানোর পর যাতে কোনও সন্দেহ না হয়, তাই সেগুলো তৈরি করা হয়েছিল। ভুয়ো নিয়োগপত্রও বানানো হয়েছিল।
জীবনতলা থেকে জালে
এবং তারপর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় থাকা শুরু করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
তার কাছ থেকে এই ঘটনার ব্যাপারে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে। বাকি ৩ জন অভিযুক্তর খোঁজে পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরে এই ঘটনার তদন্ত করছিল পুলিশ। অবশেষে রবিবার পিয়ালি থেকে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।