Advertisement

Malda Murder: সম্পত্তির দখল পেতেই পরিবারের ৪ জনকে খুন যুবকের?

কালিয়াচক থানা এলাকার পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায় নিজের পরিবারের মা-বাবা বোন এবং দিদা সহ ৪ জনকে খুনের নেপথ্যে কি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ? নাকি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়েই এই হত্যা? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

ধৃত মহম্মদ আসিফ। ছবি: মিল্টন পাল
ভাস্কর রায় / মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 19 Jun 2021,
  • अपडेटेड 1:06 PM IST
  • মালদা কালিয়াচকে খুন কি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে
  • অভিযুক্ত যুবক তার দাদাকেও মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ
  • এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়ে

মালদা কালিয়াচকে খুন কি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে? অভিযুক্ত যুবক তার দাদাকেও মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

কালিয়াচক থানা এলাকার পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায় নিজের পরিবারের মা-বাবা বোন এবং দিদা সহ ৪ জনকে খুনের নেপথ্যে কি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ? নাকি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়েই এই হত্যা? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

যদিও প্রতিবেশীদের একাংশের অভিযোগ, উৎশৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ধৃত আসিফ মেহেবুব অর্থনৈতিক কারণেই এই হত্যালীলা চালিয়েছে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে মালদার কালিয়াচকের ১৬মাইলের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে । ঘটনাস্থলে আসছেন ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে দেহ বের করা হবে।

স্থানীয় মানুষদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই উৎশৃঙ্খল এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করত আসিফ। হিসাব বহির্ভূত বহু টাকাও খরচ করতে দেখা গিয়েছে তাকে।

গ্রেফতার হওয়ার ৪ মাস আগে সমস্ত সম্পত্তি মা বাবাকে নিয়ে নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

এর আগেও একটি অর্থনৈতিক সমস্যায় ফেঁসে গিয়েছিল সে। আর তখন আসিফের বাবা ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। বরাবরই পাড়াপ্রতিবেশী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, ব্যয়বহুল জীবনে অভ্যস্ত ছিল অভিযুক্ত।

শুক্রবার আসিফের দাদা কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ভাই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ তাঁর মা-বাবা-বোন এবং দিদাকে খুন করে বাড়ির নিচে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

তাঁর আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন তাঁকে নানাভাবে ভয় দেখানো হত। আর তাই তিনি অভিযোগ জানাতে পারছিলেন না। সম্প্রতি তাঁদের বসত বাড়িটি বিক্রি করতে উদ্যত হয় ভাই। তখনই তিনিঠিক করেন থানায় অভিযোগ জানাবেন।

Advertisement

অন্যদিকে, এই ঘটনায় ছত্রিশগড়ের রায়পুরের উদয়ন-কাণ্ডের মিল খুঁজে পাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা।
২০১০ সালে প্রথমে মা-বাবা এবং তার ৬ বছর পর ২০১৬ সালে প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে রেখেছিল রায়পুরের বাসিন্দা উদয়ন দাস।

পরে সন্দেহ এড়াতে মা-বাবা এবং প্রেমিকাকে দীর্ঘদিন নিজের ফেসবুকে জীবিত হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। তবে শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এক্ষেত্রে, ঠিক কী কারণে খুন তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছে মালদা জেলার পুলিশ কর্তারা। তারা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। চেষ্টা করা হচ্ছে আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলার।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement