বাগুইআটি জোড়া খুন-কাণ্ডে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই ছাত্র খুনের ঘটনায় বুধবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবিয়ের সামনেই ভর্ৎসনা করলেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে অবহেলা হয়েছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তে পুলিশের দায়সারা মনোভাব ছিল বলেও মনে করছেন খোদ পুলিশমন্ত্রী।
এদিন নবান্নে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রতিম সরকার। সেখানেই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ গোপন করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রতিম সরকারকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, "কেন সিআইডি-র মিসিং স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হল না?" বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে তিনি স্পষ্ট বলেন, "ওই ঘটনার তদন্তে অবহেলা হয়েছে।" মুখ্যমন্ত্রীর আরও প্রশ্ন, "সমন্বয় নেই কেন? কেন এত দায়সারা মনোভাব?"
এদিকে শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারও। পুলিশ আরও আগে সক্রিয় হলে অকালে সন্তানদের হারাতো হতো না বলে দাবি নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই দুই স্কুল পড়ুয়া গত ২২ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল। দু'দিন তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। পুলিশের কাছে অতনুর বাবা দাবি করেন, তিনি মুক্তিপণ সংক্রান্ত মেসেজ পেয়েছেন। অপহরণকারীরা বারবার মুক্তিপণের অঙ্কও বদলিয়েছে বলে দাবি। পরে বসিরহাট পুলিশ জেলা থেকে উদ্ধার হয় অতনু এবং অভিষেকের দেহ। পুলিশ তদন্তে সত্যেন্দ্র চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির নাম পায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র-সহ দু'জন।
আরও পড়ুন - পায়ে সাদা দাগ, ডেঙ্গির মশা কীভাবে চেনা যায়-শরীরে কোথায় কামড়ায়?