Advertisement

Nikki Yadav Muder Case: রাতে নয় দিনেদুপুরে খুন, নিক্কির থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল সাহিল!

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাহিল জানিয়েছে, সে দ্বিধায় ছিল। একদিকে নিকি বিয়ে বানচাল করে তার সঙ্গে থাকতে বলছিল। অন্যদিকে, পরিবারের লোকজন বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। নিক্কিকে খুনের পর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও মুছে দেয় সাহিল। নিক্কি হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত কী কী প্রকাশ্যে এসেছে? 

নিক্কি হত্যাকাণ্ড
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 16 Feb 2023,
  • अपडेटेड 5:23 PM IST
  • নিক্কি হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
  • ১০ পয়েন্টে ঘটনাক্রম।

দিল্লির নিক্কি হত্যাকাণ্ডে সামলে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৯টা নয়, সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মাঝে নিক্কিকে হত্যা করে সাহিল। ওই দিন সাহিলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাহিল জানিয়েছে, সে দ্বিধায় ছিল। একদিকে নিকি বিয়ে বানচাল করে তার সঙ্গে থাকতে বলছিল। অন্যদিকে, পরিবারের লোকজন বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। নিক্কিকে খুনের পর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও মুছে দেয় সাহিল। নিক্কি হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত কী কী প্রকাশ্যে এসেছে? 

১। ২০১৮ সালে বন্ধুত্ব, হত্যার ১৫দিন আগেও লিভ-ইন

সাহিল এবং নিক্কি জানুয়ারি মাসে ২০১৮ সাল থেকে পরস্পরকে চেনেন। দু'জনেই দিল্লির উত্তম নগরে কোচিং করতে যেতেন। সেই পরিচয় প্রেমে পরিণত হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিক্কি এবং সাহিল গ্রেটার নয়ডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। দু'জনেই লিভ-ইনে থাকতে শুরু করেন। সাহিল জানিয়েছেন, বাগদানের ১৫ দিন আগে পর্যন্ত তিনি নিক্কির সঙ্গেই ছিলেন।

২। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর ঝামেলা

জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহিল গেহলট দাবি করেছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন পরিবারের লোকজন। তার পর বিয়ের জন্য সম্মত হন। ৯ ফেব্রুয়ারি বাগদান হয়। এবং ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে। নিক্কি যখন সাহিলের বিয়ের কথা জানতে পেরে রেগে যান। সাহিলকে বিয়ে ভাঙার জন্য চাপ দেন নিক্কি। বিয়ের দিন সাহিলের সঙ্গে গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন। টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু টিকিট পাননি সাহিল। এর পর নিক্কি বাসে বা ট্রেনে হিমাচল যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

৩। বাগদানের পর নিক্কির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সাহিল

সাহিলের বাগদান হয়েছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন তিনি খুশি ছিলেন। বাগদান নিয়ে নিক্কির  সঙ্গে তাঁর ঝগড়াও হয়। এরপর সকাল ১টায় ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে নিক্কির সঙ্গে দেখা করতে  ফ্ল্যাটে পৌঁছন সাহিল। ভোর ৫টা পর্যন্ত নিক্কি কাছেই ছিলেন। তাঁকে বাইরে নিয়ে যেতে রাজি করান নিক্কি।

Advertisement

৪। চার ঘণ্টা ধরে গাড়িতে

হিমাচল যাওয়ার জন্য নিজামুদ্দিন রেলস্টেশনে পৌঁছন সাহিল ও নিক্কি। কিন্তু জানতে পারেন কাশ্মীর গেট থেকে আইএসবিটি বাস মেলে। বিয়ের দিন সাহিল বাড়িতে না থাকায় তাঁর পরিবারের লোকজন একটানা ফোন করছিলেন। শেষ মুহূর্তে হিমাচল যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে সাহিল।  এই সময় দু'জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখনই নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাহিল।

৫। সাহিল দ্বিধায়

সাহিল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে,সে নিক্কির সঙ্গে থাকবে নাকি পরিবারের সদস্যদের কথা শুনবে তা নিয়ে দ্বিধায় ছিল। পরিবারের লোকজন তাঁকে বিয়ের জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছিল। অন্যদিকে নিক্কি তাঁকে ছাড়তে নারাজ ছিলেন। নিক্কির হাত থেকে বাঁচতে সে খুন করে বলে স্বীকার করেছে সাহিল। 

৬। নিক্কির কাছ থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল সাহিল 

পুলিশ দাবি করেছে, সাহিল নিক্কির হাত থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছা অনুযায়ী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পুলিশ বলছে, ৯ ফেব্রুয়ারি সাহিল বাগদানের সময়  নেচেওছিলেন। পুলিশের মতে,শ্বাসরোধ করে মৃত্যু হয়েছিল নিক্কির। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিক্কির শরীরে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

৭। মৃতদেহ নিয়ে দিল্লির রাস্তায় ঘুরেছিল সাহিল

নিক্কিকে খুন করার পর সাহিল তাঁকে সামনের সিটে বসিয়ে ৪০ কিলোমিটার দিল্লির রাস্তায় ঘুরেছিল। তার পর নিজের গ্রাম মিত্রানে পৌঁছয়। যেখানে নিজের বন্ধ ধাবার ফ্রিজে নিক্কির লাশ লুকিয়ে রাখে। বাড়ি চলে যান। ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁর বিয়ে হয়। পুলিশের মতে, এ সময় তার শরীরের ভাষা দেখে মনে হয়নি যে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছে। তার কোনও আক্ষেপ ছিল না।

৮। নিক্কির বাবাকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল

নিক্কির বাবা সুনীল যাদবকেও বিভ্রান্ত করেছিল সাহিল  নিক্কির বোন সাহিলের নম্বর নিজের বাবাকে দিয়েছিল। সাহিল সুনীলকে ফোনে বলেছিল, নিক্কি বন্ধুদের সঙ্গে দেরাদুনে বেড়াতে গিয়েছে। বিয়ে থাকায় সে যেতে পারেনি। 

৯। কীভাবে ধরা পড়ল সাহিল?

সাহিলের উপর সন্দেহ হওয়ায় সুনীল যাদব দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চে তাঁর পরিচিত এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিক্কির ফোনে নজরদারি রাখতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। নজফগড়ের মিত্রান গ্রামের কাছে একটি ধাবায় ফোনের লোকেশন পাওয়া যায়। পুলিশ ধাবায় পৌঁছে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করে নিক্কির লাশ। সাহিলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সাহিল বাড়িতে ছিল না। তার ফোনও বন্ধ ছিল। পুলিশ তাকে দিল্লির কাছে একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।

১০। নিক্কির পরিবারের দাবি

নিক্কির আত্মীয়রা ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুনানির দাবি করেচেন। নিক্কির কাকা প্রবীণ যাদব খুনিকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আবেদন করেছেন। এর আগে সুনীল যাদবও সাহিলকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। নিকির কাকর দাবি, পুলিশ মিথ্যা বলছে। নিক্কি কলেজ হোস্টেলে থাকতেন। সাহিলের সঙ্গে লিভ ইনে থাকত না। 

আরও পড়ুন- এনগেজমেন্ট পার্টিতে ডান্স সাহিলের-নিক্কির সঙ্গে ঝগড়া, খুন করে লাশ ফ্রিজে

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement