Sabuj Sathi Cycle Scam: সবুজ সাথী (Sabuj Sathi) প্রকল্পের সাইকেল বিক্রির অভিযোগ উঠল স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা (North 24 Parganas) স্বরূপনগর (Swarupnagar)-এর চারঘাট এলাকায়। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা ও ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের নাম রিঙ্কু দাস ও ভ্যনওয়ালা নুর আলম মণ্ডলকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। অন্যদিকে, ওই ভ্যানওয়ালা দাবি করেছে, সে সাইকেল কিনেছে। তা করার জন্য পড়ুয়া সাজিয়ে ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে যেত।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট-কনস্টেবলদের রিফ্লেকশন জ্যাকেট-শোল্ডার লাইট মাস্ট
ভ্যানে করে সাইকেল
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি ভ্যানে করে আটটি সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। আর তখন ভ্যানওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর সাইকেল ভর্তি ভ্যানটিকে স্থানীয় চারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভ্য়ানাওয়ালা যা দাবি করছেন
ভ্যানওয়ালার দাবি, সাইকেলগুলি এক একটি ৩৭০ টাকা দরে সে কিনেছে স্কুলের ম্যাডামের কাছ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চারঘাট গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সাথী (Sabuj Sathi) প্রকল্পের সাইকেল গুলিকে বিক্রি করে দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দাবি, সাইকেল গুলো বিক্রি করা হয়নি এলাকার দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের ব্যবহারের জন্য অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।
প্রধান শিক্ষিকা দাবি করেছেন, পুরনো সাইকেল স্কুলে ছিল। ৫-৬ বছর পুরনো সাইকেল সেগুলো। শৌচালয়ের কাছের একটা ঘরে ছিল সেগুলো। সেখানে অন্ধকার। সাপ ঢুকে বসে থাকে। ভয়ের ব্যাপার। সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করা হয় ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ভাঙাচোরা প্রচুর সাইকেল রয়েছে। ক্লাস ৫ থেকে ৭-এর ছেলেমেয়েদের সাইকেল দিয়েছি। অভিভাবকরা এসেছিলেন।
ওই ভ্যানওয়ালা পাল্টা দাবি করেন, টাকা দিলাম রিঙ্কু ম্যাডামের কাছে। বলে দিয়েছিলেন, শিশুদের নাম করে নিয়ে যেতে। এখন তো ধরা পড়েছি। মিথ্যে বললে খাটবে না। আগে নিয়ে গিয়েছি। আমি কিনে নিয়ে। ৩৭০ টাকা করে।
তার বক্তব্য, আমি তো চুরি করে নেব না। সাইকেল আছে ৫০টা। বলি, পুরোটাই আমাকে যদি দেন। আমি ১০টা করে নিয়ে যাব। তখন বলা হয়, ছেলেমেয়ে নিয়ে আসতে হবে, যাতে সন্দেহ না হয়। এবং নিয়ে যেতে হবে। তেমন ভাবেই নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লাস হচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন
নিখিল বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি দাবি করেন, পঞ্চায়েতে ছিলাম। বার বার ফোন আসে, সাইকেল চুরি হয়ে গিয়েছে। তারপর সেখানে যান তিনি। দেখা যায়, অনেকগুলো লোক একটা ভ্যান আটকে রেখেছে।
তিনি আরও জানান, ভ্য়ানওয়ালা তাঁদের জানান, মোট আটখানা কিনেছেন। ৩৭০ টাকা করে দাম দিয়েছে। রিঙ্কু ম্যাডাম না কে, তার কাছ থেকে। আগেও নিয়ে গিয়েছে। পরশু দিন নিয়ে গিয়েছে বলে জানান। তিনি বলছেন, আমি ভাঙাচোরা জিনিস কিনি।