Advertisement

আয়া-খদ্দের সেজে শিলিগুড়িতে শিশু-পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ

খদ্দের সেজে শিশু বিক্রির আন্তরাজ্য চক্র ফাঁস করল পুলিশ, শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার ৪। ৬, ৭, ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল শিশু, চক্রের পর্দা ফাঁস করে হতবাক শিলিগুড়ি পুলিশ।

আয়া-খদ্দের সেজে শিলিগুড়িতে শিশু-পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 26 Mar 2023,
  • अपडेटेड 8:43 AM IST
  • ৬, ৭, ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল শিশু
  • চক্রের পর্দা ফাঁস করে হতবাক পুলিশ
  • শিলিগুড়িতে ফাঁস আন্তঃরাজ্য শিশু পাচার চক্র

Inter State Child Trafficking Racket Busted: শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, শিশু বিক্রির চক্র রমরমিয়ে চলছে শহরে। সেইমতো শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এসওজির একটি দল তল্লাশিতে নামে। ছক কষে পুলিশের দল গ্রাহক সেজে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এক মহিলা কনস্টেবলকে আয়া সাজিয়ে পুলিশ নিজে খদ্দের সেজে গিয়ে শিশু বিক্রি চক্রের সঙ্গে যুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার সাত দিনের শিশুকন্যাকে।

আরও পড়ুনঃ  মহিলাকে কে খুন করেছিল? বলে দিল পোষা টিয়া, ৯ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন

কীভাবে পর্দা ফাঁস?

পুলিশ ছদ্মবেশে যোগাযোগ করার পর এজেন্টরা বেশ কয়েকটি শিশুর ছবি দেখায়। সেখানে ছয় মাস থেকে শুরু করে সদ্যোজাত, এক বছরেরও শিশু রয়েছে। কোনও শিশুর দাম ৬ লক্ষ টাকা, কোনও শিশুর দাম ৭ লক্ষ টাকা আবার কোনও শিশুর দাম ১০ লক্ষ টাকা। সব দেখে সাতদিনের শিশুকন্যাকে পছন্দ করে পুলিশের ওই সাজানো খদ্দের। ওই শিশুকন্যার বিনিময়ে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার সকালে প্রতীক ও গৌরী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলেন। সেখানে পুলিশের সাজানো খদ্দেরকে ডাকা হয়। একজন মহিলা কনস্টেবলকে শিশু দেখাশোনার আয়া সাজিয়ে নিয়ে ওই বিক্রেতাদের কাছে যান পুলিশের সাজানো খদ্দের। প্রথমেই টাকা দেখতে চায় অভিযুক্তরা। সেইমতো পুলিশের পক্ষ থেকে টাকাও দেখানো হয়।এরপর ফোন করে বীণাকে শিশুটি নিয়ে আসার জন্যে বলে গৌরী। সেইমতো বাগডোগরায় নিজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকন্যাকে এবং প্রভাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে বীণা। এরপরেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার মাটিগাড়া থানাকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে ওই চারজনকে ধরা হয়। ধৃতদের হেফাজত থেকে একটি ৭ দিনের শিশুকন্যা পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতরা হল বীণা দেবী, প্রতীক দেবনাথ, গৌরীবাহাদুর ছেত্রী এবং প্রভা দেবী। এদের মধ্যে প্রতীক এবং গৌরী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা দুজন শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে হেফাজতে নেয় পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে গোটা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্টকে।

Advertisement

বিহার থেকে পাচার করে আনা হয়েছিল শিশু

পুলিশ জানতে পারে,ওই শিশুকন্যাকে বিহারের একটি আইভিএফ সেন্টার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।তার জন্যে বিহারের এক এজেন্টের অ্যাকাউন্টে বীণার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। প্রভাদেবী ওই শিশুকন্যাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে এসেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে CWC-র অধীনে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই চক্রে আরও বড় মাথা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়িতে বিশেষ আদালতে তোলা হলে, চারজনকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement