scorecardresearch
 

Parrot Told Who Killed Mistress: মহিলাকে কে খুন করেছিল? বলে দিল পোষা টিয়া, ৯ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন

Parrot Told Who Killed Mistress: মহিলাকে কে খুন করেছিল? বলে দিল পোষা টিয়া, ৯ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন। মালিককে টিয়া পাখি বলে "আশু আয়া থা" তখন শুরু হয় তদন্ত। এরপরে যখন বিজয় শর্মা টিয়াপাখির সঙ্গে কথা বলতে যান, তখন সে আবার বলে, আশু আয়া থা। কে এই আশু। কীভাবে করে খুন, আসুন জেনে নিই...

Advertisement
মহিলাকে কে খুন করেছিল? বলে দিল পোষা টিয়া, ৯ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন মহিলাকে কে খুন করেছিল? বলে দিল পোষা টিয়া, ৯ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন
হাইলাইটস
  • মালকিন ও কুকুরকে খুন
  • লুঠপাট চালিয়েছিল ভাগ্নে ও বন্ধু
  • পুলিশে ধরিয়ে দিল পোষা টিয়া

Parrot Told Who Killed Mistress:উত্তরপ্রদেশের আগ্রাতে নয় বছর আগে হওয়া মহিলা হত্যাকাণ্ডের পর লুটপাটের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে কোার্ট ২ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি শুনিয়েছে। অপরাধীরা মহিলার সঙ্গে তার পোষা কুকুরটিকেও খুন করেছিল। এই মামলায় বিশেষ বিষয় হল যে, অপরাধীর শরীরে কুকুরের আঁচড়ের দাগ চলে এসেছিল। এর সঙ্গে টিয়া পাখির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীকে খুঁজে বের করে অপরাধীর মধ্যে একজন নিহত মহিলার ভাগ্নে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় বিশেষ আদালতে বিচারক মহম্মদ রশিদ মহিলাকে হত্যার মামলায় দুই অভিযুক্ত আশুতোষ গোস্বামী এবং রনি মেসিকেও যাবজ্জীবনের শাস্তি দিয়েছে। এরই সঙ্গে ৭২ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় মামলা ৯ বছর পর্যন্ত চলে

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম সামনে আসার ঘটনার পেছনে ছিল নিহত মহিলা, নীলমের পোষা টিয়া মিঠ্ঠু রাজা। সে সবাইকে চমকে দেয়। আসলে এই হত্যার পরে খাঁচায় বন্দি টিয়াপাখিটি লাগাতার অভিযুক্তের নাম বলে চলেছিল। এতে কারও প্রথমে ভরসা হয়নি। কারণ অভিযুক্ত আশুতোষ, নীলমের স্বামী বিজয় শর্মার নিজের ভাগ্নে। এত নৃশংস হত্যা এবং লুটপাটের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়া সন্দেহ করার কঠিন ছিল। সে তার বন্ধু রনির সঙ্গে মিলে নীলমদেবীকে খুন করে এবং তারপরে লুটপাট করে পালিয়ে যায়।

মহিলাকে কে খুন করেছিল? বলে দিল পোষা টিয়া, ৯ বছর পর ভাগ্নের যাবজ্জীবন

আরও পড়ুনঃ SHOCKING: স্ত্রীর দেহ টুকরো করে মাটিতে পুঁতল স্বামী, বিষ্ণুপুরে হাড়হিম ঘটনা

আসলে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে আগ্রার বাসিন্দা বিজয় শর্মা, ছেলের সঙ্গে ফিরোজাবাদে একটি বিয়েতে শামিল হয়েছিলেন। যখন তিনি রাতে ফিরে আসেন, নীলমের লাশ রক্তে মাখামাখি হয়ে পড়েছিল। তাঁদের পোষা কুকুরও মৃত অবস্থায় পড়েছিল। দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তদন্ত শুরু করে। পুলিশ তদন্তের সময়ে নীলম এবং কুকুরের মৃতদেহ বাজেয়াপ্ত করে পোস্টমটামের জন্য পাঠায়। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে জানা যায় যে মহিলা ওপর চোদ্দ এবং কুকুরের উপর নয় বার আঘাত করা হয়েছিল। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে জানা যায় যে কীভাবে তাঁকে খুন করা হয়। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী যখন তদন্ত করার সময় মৃতের বাড়িতে তাঁরা পৌঁছন, তখন খাঁচায় বন্দী তোতাপাখি বারবার কিছু বলছিল। যখন তার কথা ভালো করে শোনার চেষ্টা করা হয়, তখন মনে করা হয় যে টিয়া পাখিটি বারবার বলছিল "আশু আয়া থা" টিয়া পাখি বারবার একই কথা বলতে থাকায় পুলিশের মনোযোগ সেই দিকে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ৮ দিন ধরে নিখোঁজ কলেজের রেজিস্ট্রার, ২৬ লক্ষ টাকাও 'গায়েব'

মালিককে টিয়া পাখি বলে "আশু আয়া থা" তখন শুরু হয় তদন্ত। এরপরে যখন বিজয় শর্মা টিয়াপাখির সঙ্গে কথা বলতে যান, তখন সে আবার বলে, আশু আয়া থা। বিজয় শর্মা এই কথাটি পুলিশকে জানান। এর পরে পুলিশ তো তাকে জিজ্ঞাসা করে তখন পুলিশের সামনেও টিয়াপাখি বলে যে আশু আয়া থা। এরপরে পুলিশ জিজ্ঞাসা করে, আশু কে? এরপর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে এরপর বলে, পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ চার্জশিট দিয়ে তাতে দাখিল করে। পুলিশ চার্জশিটে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করে। কিন্তু আদালতে টিয়াপাখিকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়নি। এই ঘটনা নয় বছর পরে শেষমেশ বৃহস্পতিবার সাজা শোনানো হয়। এরপরে ১৪ নভেম্বর ২০২০তে করোনার মধ্যে বিজয় শর্মার মৃত্যু হয়ে যায়।তার মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েরা এই মামলা লড়তে শুরু করেন। তাঁরাই শেষমেশ মামলায় সাফল্য লাভ করেন।

 

Advertisement