Advertisement

বাবা মোবাইল গেম খেলতে বারণ করেন, অভিমানে কেরোসিন জ্বালিয়ে আত্মঘাতী কিশোর

মোবাইল গেমে আসক্ত ছেলে। শুরু হয় বাবার বকুনি। অভিমানে বাড়িতে থাকা কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র।

নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা (বাঁদিকে)। বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজে। ছবি: ভাস্কর রায়নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা (বাঁদিকে)। বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজে। ছবি: ভাস্কর রায়
ভাস্কর রায়
  • মালদা,
  • 26 Aug 2021,
  • अपडेटेड 11:31 AM IST
  • মোবাইল গেম খেলায় আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা
  • অভিমানে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির পডুয়া
  • মালদার বালুচরের ঘটনা

মোবাইল গেম খেলায় আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা। তা মানতে পারেনি সে। অভিমানে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির পডুয়া। মালদার বালুচরের ঘটনা। আশপাশের মানুষজন কল্পনাও করতে পারেননি এমন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে তাঁদের।

বাবার বকুনি
মোবাইলে গেমে আসক্ত ছেলে। শুরু হয় বাবার বকুনি। অভিমানে বাড়িতে থাকা কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে মালদা শহরের উত্তর বালুচর এলাকায়।

সকালে মৃত্যু
মৃত স্কুল ছাত্রের নাম ছোট্টু রায় বয়স (১৪) বছর। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় আক্রমণি হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

আরও পড়ুন

পড়ার বদলে গেম
পরিবারে রয়েছেন বাবা গণেশ রায়, মা বিভা রায়। তারা দুই ভাই। পরিবারের ছোট্টু ছোট। ছোট্টুর বাবা গণেশবাবু পেশায় একজন রোল বিক্রেতা। প্রত্যেক দিনের মতো বুধবার সন্ধেবেলা পড়াশোনা ছেড়ে মোবাইলে গেম খেলছিল ওই স্কুল ছাত্র। এমনই অভিযোগ।

বাবার বকুনি
আর সেই সময় বাবা তাকে বকাবকি করেন। এরপর অভিমানে নিজের বাড়িতে ঢুকে বাড়িতে থাকা কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারলে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাতে ভর্তি করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

গুরুতর জখম
তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এমনটা পরিবারের সদস্যদের জানায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রের।

শোকের ছায়া
এই ঘটনার পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত স্কুল ছাত্রের মা বিভা রায় সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মৃত্যুর পরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারসহ গোটা গ্রামে। এমন ঘটনা ঘটবে, কারও কোনও ধারনা ছিল না।

Advertisement

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সে মোবাইলে গেম খেলত। বাবা বকাঝকা করেছে। তারপর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এদিন সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement