বিহারের পাটনায় একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করতে গিয়ে 'ধর্ষণের শিকার' হলেন কলকাতার এক সঞ্চালিকা। অনুষ্ঠানের পর পেমেন্ট দেওয়ার নাম করে তাঁকে হোটেলের ঘরে জোর করে ঢুকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ২ মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। অভিযোগ, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা তো দূর, নিগৃহীতার সঙ্গে পুলিশ কোনওরকম সহযোগিতাও করছে না।
যাদবপুরের বাসিন্দা ওই সঞ্চালিকা গত ৩০ জুন বিহারের পাটনায় যান একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করতে। অভিযোগ ২ জুলাই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর মধ্যরাতে তাঁর হোটেল রুমে আসে কিংস মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট এর এক কর্তা হর্ষ রঞ্জন নামে এক ব্যক্তি। অনুষ্ঠানের পেমেন্ট মেটানোর নাম করে জোর করে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, সেই সময় ভিক্রান্ত কেজরিওয়াল নামে আরও এক ব্যক্তিকে ঘরে ডেকে নেয় হর্ষ রঞ্জন। এরপর তাঁর ঘরে বসেই দুজন মদ্যপান করে।
আরও পড়ুন : 'চ্যাপ্টার ক্লোজড, বাবুলের সঙ্গে বিচ্ছেদ মিউচুয়াল ডিভোর্স', বলছে BJP
অভিযোগকারিণীর দাবি, মদ্যপানের প্রতিবাদ করে তাঁকে তাড়াতাড়ি পেমেন্ট মেটানোর দাবি করলে টাকা না দিয়ে দুজন মিলে গণধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সেই সময় তাঁর স্বামী বারবার ফোন করকেও তাকে ফোন ধরতে দেওয়া হয়নি। এমনকী হোটেল রুমের ল্যান্ডফোনের তার খুলে দেওয়া হয়, যাতে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ না করা যায়।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে সঞ্চালিকা জানিয়েছেন, গণধর্ষণ করার পর দুজন মিলে তাঁকে গাড়িতে করে স্টেশনে পৌঁছে দেয়। স্টেশনে যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁকে জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ানো হয় বলেও অভিযোগ। পরদিন কলকাতায় ফিরে যাদবপুর থানায় গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন নিগৃহীতা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যেহেতু ঘটনাটি পাটনাতে ঘটেছে তাই অভিযোগকারিণীর লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে, একটি 'জিরো এফআইআর' রুজু করে মামলাটি পাটনা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। এরপর দু'মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পাটনা পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ নিগৃহীতার।
আরও পড়ুন : টাকার অভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না? সরকারের এই ৪ লোন পান সহজেই
তাঁর দাবি, দুই অভিযুক্ত প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমনকী ফেসবুকে পোস্টও দিচ্ছে দেখে, বারবার পাটনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা করা হয়নি।