Advertisement

নিউটাউনে লিভ-ইন পার্টনারকে মারধর করে খুনের অভিযোগ, ধৃত যুবক

লিভ-ইন পার্টনারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার যুবক। তাঁকে অনিচ্ছকৃত খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতের নাম দেবব্রত পতি

ধৃত দেবব্রত
অরিন্দম ভট্টাচার্য
  • কলকাতা ,
  • 20 Jul 2021,
  • अपडेटेड 3:55 PM IST
  • লিভ-ইন পার্টনারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার যুবক
  • অনিচ্ছকৃত খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ
  • পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে ৪ দিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল

লিভ-ইন পার্টনারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার যুবক। তাকে অনিচ্ছকৃত খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতের নাম দেবব্রত পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবব্রতকে ৪ দিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল। 

নিউটাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেবব্রত একজন IT কর্মী। সে ও রিচা সিং নামে এক যুবতী গত চার মাস ধরে থাকদাঁড়ির প্রামাণিক পাড়ায় একটি বাড়িতে থাকছিল। তারা লিভ-ইন করত। ১৫ জুলাই বিকেল নাগাদ হাসপাতালে মারা যায় রিচা। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কর্মসূত্রে সে এখানে থাকত। 

আরও পড়ুন : মহেশতলায় রাসায়নিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, আহত ৬

ঠিক কী হয়েছিল সেইদিন ? ১৫ জুলাই দেবব্রত বাড়ি মালিককে জানায়, তার স্ত্রী অসুস্থ। সে গাড়ি ভাড়া করে রিচাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ি মালিকের কাছে ফুলবাগান থানার পুলিশের ফোন আসে। ফোনে জানানো হয়, রিচার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেদিন রিচার সঙ্গে দেবব্রতর কোনও বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আর তা বচসা ও হাতাহাতির আকার নেয়। দেবব্রত রিচাকে মারধর করে। যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। তারপরই মারা যায় সে। 

এই বাড়িতেই লিভ-ইন করত তারা

সেদিনের ঘটনা নিয়ে বাড়ির মালিকের স্ত্রী ঝুমা মণ্ডল বলেন, 'আমার স্বামী ও ছেলে একটা ভ্যাকসিন সেন্টারে কাজ করে। ওরা সেদিন তখন দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি এসেছে। তখন ৩ টে হবে। দেবব্রত আমাকে এসে জানাল, ওর স্ত্রী অসুস্থ। আমাকে একজন ডাক্তার ডেকে দিতে বলল। তারপর ওলা বুক করে দেওয়ার অনুরোধ করল। আমি বুক করে দিলাম। পরে শুনি মেয়েটি মারা গিয়েছে। ওরা যখন ঘর ভাড়া নিয়েছিল, তখন জানিয়েছিল ওরা স্বামী-স্ত্রী। পরে আমাদের আর বিয়ের সার্টিফিকেট দেখায়নি।' 

Advertisement

রিচার মৃত্যুর পিছনে দেবব্রতর মারধর দায়ী না অন্য কিছু তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুলিশ। আজ ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement