বাংলা জয়ের পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য ত্রিপুরা। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেখানে গিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু-সহ দলের নেতারা।
আর এই উপলক্ষ্যে রাজধানী আগরতলায় একশোর বেশি ফ্লেক্স, ব্যানার লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতারা। তাঁদের দাবি, অভিষেক একাই একশো। তাই একশো ফ্লেক্স।
হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশো। তাই একশো ফ্লেক্স লাগানোর উদ্যোগ। শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছে ব্যানার-পোস্টারে। বিমানবন্দর থেকে পোলো টাওয়ার হোটেল পর্যন্ত সেগুলি লাগানো হয়েছে।
তৃণমূল সেখানে 'খেলা হবে' দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছে। ব্যানার-পোস্টারে সে বিষয়েরও উল্লেখ ছিল।
এদিন অভিযোগ উঠেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় তার ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠকেও সেই দাবি করেন।
ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের এক প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়েছিল। আর অভিযোগ তুলেছে, তাদের যাতায়াতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের পাল্টা দাবি, সেখানে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত একটা সরকার রাজ্য চালাচ্ছে। তৃণমূলের কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। তা হলে তারা এমন ভাবে ঘুরতে পারতেন না। আর সে রাজ্যে তৃণমূলের কোনও জোর নেই।
একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল প্রচারে বড় অস্ত্র ছিল 'বহিরাগত' ইস্যু। তারা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত তকমা সেঁটে দিয়েছিল। আর লাগাতার প্রাচার চালিয়েছিল, ওঁরা বাইরে থেকে এসেছেন। তাই বহিরাগত। ওঁরা বাংলা চালাবেন না। বাংলরা মানুষ বাংলা চালাবেন। তবে তৃণমূলের সেই অস্ত্রই যেন বুমেরাং হয়ে ফিরেছে। ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে তাদেরই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। দু'রকমের পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।
প্রথমত, বিজেপির দাবি, সে রাজ্যে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই নেই। আর দ্বিতীয়ত তৃণমূল সে রাজ্যে 'বাইরের' শক্তি।
ঠিক যেমনটা একুশের ভোট প্রচারে তৃণমূল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল।