দীপাবলি উপলক্ষ্যে আলোর মালায় সেজে উঠেছে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি। উত্তর প্রদেশ সরকার মাটির প্রদীপ দিয়ে মুড়ে ফেলেছে অযোধ্যাকে। বিশেষত রাম জন্মভূমি এলাকাকে আলোর মালায় সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
উত্তরপ্রদেশের পর্যটন মন্ত্রী নীলকান্ত তিওয়ারি জানিয়েছেন, রাম জন্মভূমিতে দীপোৎসব সারা দেশের নজর কাড়বে এবার। এমন এক উৎসব পালন করা হবে, যা গত ৫০০ বছরে কেউ দেখেননি।
এবারের দীপোৎসবে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার মাটির প্রদীপ জ্বালান হবে। নিজের বিশ্বরেকর্ডই ভেঙে দিতে চলেছে অযোধ্যা। এই অনুষ্ঠান ঘিরে অযোধ্যাবাসী খুব উচ্ছসিত। কনের সাজে সেজেছে গোটা শহর।
উত্তরপ্রদেশের পর্যটন মন্ত্রীর দাবি রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হওয়া একটা বড় সাফল্য। গত ৫০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম অযোধ্যাতে আক্ষরিক অর্থে দীপাবলি পালন করা হবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই দীপাবলির জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই সব গাইডলাইনস মেনেই দীপোৎসব পালিত হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে ভিড় না করা হয়। সেজন্য দীপোৎসব বাড়িতে বসে লাইভ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫.৫১ লক্ষ মাটির প্রদীপ জ্বালানো হবে অযোধ্যার রাম কি পৌরি ঘাটে। প্রদীপ জ্বালানোর উৎসবে সামিল হবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। থাকবেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলও।
যোগী গোবর দিয়ে নির্মিত প্রদীপ জ্বালোনর ওপর এবার জোর দিয়েছেন। দীপোৎসবের দিন রামলালার পুজো দেবেন তিনি।
অযোধ্যায় দীপাবলির মূল অনুষ্ঠানটি হচ্ছে ১৩ নভেম্বর। অযোধ্যা নগর প্রশাসন এদিন সরযূ নদীর ২৮টি ঘাটে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার প্রদীপ জ্বালাবে। তবে কোভিড -১৯ প্রোটোকলের কারণে অযোধ্যা নগরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০১৯ সালেও উত্তর প্রদেশে দিওয়ালি পালিত হয় ধুমধাম করে। সেবার ফিজি প্রজাতন্ত্রের সংসদের স্পিকার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সাত দেশের রাম লীলা এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল।