অযোধ্যায় নবনির্মিত মন্দিরে ২২ জানুয়ারি ২০২৪-এ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। এর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। এই কার্যক্রমের আয়োজনের জন্য গর্ভগৃহে শুধু পাঁচ জন লোক শামিল থাকবেন। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সঙ্ঘ প্রমুখ মোহন ভাগবত এবং মন্দিরের আচার্য তথা মুখ্য পুজারী উপস্থিত থাকবেন। এই সবের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কিছু পুরনো ছবি এবং তার একটা সংকল্প কাহিনী সামনে চলে এসেছে। প্রকাশ হতেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে।
ফটোগ্রাফার মহেন্দ্র ত্রিপাঠী বাবরি মসজিদের চত্বরের ভিতর নিজের ফটো স্টুডিও চালাতেন। তিনি বাবরি মসজিদের সেই সময়কার তামাম ফটোগ্রাফ নিয়েছিলেন। যা পরে প্রমাণ এবং দস্তাবেজ তৈরি হয়ে যায়। এই ছবি এতটা গুরুত্বপূর্ণ যা, মসজিদের ধ্বংসের মামলায় সাক্ষী হিসেবে সিবিআইকে তিনি দিয়েছিলেন। তাই নয় বরং তিনি ওই সময়ে খনন এবং ভাঙার ছবিও প্রমাণ হিসেবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে দিয়েছিলেন।
মহেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১৪ জনুয়ারি ১৯৯২ সালে রামভক্ত হিসেবে অযোধ্যায় এসেছিলেন। তিনি মুরলী মনোহর যোশীর সঙ্গে রামলালা মন্দিরের দর্শন করেছিলেন। তিনি রামলালা মূর্তিকে এমন ভাবে দেখছিলেন, যেন মনে হচ্ছে তিনি কোনও কথা বলছেন।
এরপরে "আমি তাঁকে প্রশ্ন করি যে, আপনি এরপর কবে আসবেন? তিনি তখন বলেন যে, রাম মন্দির নির্মাণ হবে, তারপর আসব। এরপর যখন মন্দির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় তখন তিনি আসেন. তারপরে তিনি আরও একবার রামভক্ত রূপে এসেছিলেন। এটি একটি ফিল্মের স্টোরির মতন।
তিনি যা সংকল্প নিয়েছিলেন তা এখন সফল হতে চলেছে।"
এরই সঙ্গে মন্দির আন্দোলনের সময় যখন অযোধ্যায় সম্পূর্ণভাবে কারফিউতে বন্ধ ছিল, তখন উমা ভারতী, মাথা মুন্ডন করে অযোধ্যা পৌঁছেছিলেন। সেই ছবিও অযোধ্যা আন্দোলনের এই কাহিনীর একটা অধ্যায়।
সেই সময় একটা ছবি এমন রয়েছে, যেখানে শিবসেনা তৎকালীন বিধায়ক পবন পান্ডে রয়েছেন। যখন বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে, তখন যে পাথরের মধ্যে বাবরি মসজিদের ইতিহাস লেখা ছিল সেটি উপড়ে ফেলা হয়।
জানা গিয়েছে যে, এই বিষয়টি ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় বন্দি তখনকার ওই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য তো এ বিষয়টি আরও স্পর্শকাতর। কারণ ১৯৯২ সালের ছবি থেকে নিয়ে ২০২৪ পর্যন্ত শ্রী রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার ছবি এক চক্র পূরণ করে।