টিকার দু’টি ডোজের মধ্যে ফারাক ক্রমেই বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কোভিড থেকে যাঁরা সেরে উঠছেন, তাঁরা কবে টিকা নেবেন, সেই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়েছিল, কোভিড থেকে সেরে উঠে ৬ মাস পর টিকা নেওয়া যাবে। এবার এই নিয়ে অবশেষে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে NEGVAC দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। NEGVAC দেওয়া সুপারিশে বলা হয়েছিল যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার তিন মাস পরেই রোগীদের ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া উচিত। এই পরামর্শ স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুমোদিত করেছে।
National Expert Group on Vaccine Administration for COVID-19 (NEGVAC)-এর দেওয়া নতুন সুপারিশ অনুসারে, কেউ যদি প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে আক্রান্ত হন তবে দ্বিতীয় ডোজটি সুস্থ হওয়ার তিন মাস পরে দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও যে সমস্ত মহিলা সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের করোনার ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যে সমস্ত লোকেরা করোনার ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
কোভিড থেকে সেরে ওঠার কত দিন পর টিকা নেওয়া যাবে, এত দিন এই নিয়ে সঠিক কোনও নির্দেশিকা ছিল না। এক এক জন চিকিৎসক এক এক রকম মত দিতেন। রোগীর অবস্থা বুঝে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর টিকা নিতে বলতেন। এই সময়সীমা নিয়ে কোভিড টিকা সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা গোষ্ঠী (এনইজিভিএসি) সুপারিশ করে। এই গোষ্ঠীর মাথায় রয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল। সুপারিশে বলা হয়, শিশুকে স্তন্যপান করানো মায়েরাও এখন থেকে টিকা নিতে পারবেন।
দিন কয়েক আগেই মোদী সরকার কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়েছে। আগে ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। এখন কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। যদিও কোভ্যাক্সিনের দু’টি ডোজের সময়ের ব্যবধান একই রাখা হয়। সেই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়ে কেন্দ্র। অভিযোগ ওঠে, টিকার আকাল চাপা দিতেই এসব করা হচ্ছে। সরকার যদিও জানায়, ব্রিটেনে এই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত।