Cyclone Gulab Update: আজ রাতেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' (Cyclone Gulab)। এর জেরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা যাতে আটকানো যায়, সে জন্য বাংলা তো বটেই ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার অত্যন্ত তৎপর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ভাগ এবং ওড়িশা উপকূলের দক্ষিণ অংশে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab)। প্রতি ঘণ্টায় ৭৫-৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছতে পারে ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
মাঝে মাত্র চার মাসের ব্যবধানে। তখন আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আর এবার ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab)। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাণ্ডব তাকাতে পারে ঘূর্ণিঝড় রবিবার বিকেলে স্থলভাগের প্রবেশ করার কথা তবে শনিবার থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায়।
বলা যেতে পারে একই ছবি বাংলারও। সেখানেও অনেক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টি অথবা অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
এবং তা হলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ভাসতে চলেছে। দিন কয়েকের আগের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশে জল জমেছে। কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে জল জমে ছিল। এখনও অনেক জায়গায় জল জমে রয়েছে যার ফলে নাজেহাল মানুষ।
ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। সাতটি জেলায় উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে গঞ্জাম এবং গজপতি জেলায়।
ওই দুই জেলার পাশাপাশি রায়গড়, কোরাপুটের প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সর্তক করেছে। সেখানে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কাঁচা বাড়ি বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় শরীর নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিক্ষিপ্ত ভাবে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। দু'টি জেলায় বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা বেশি বৃষ্টি। সেখানকার দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে সব জায়গায় বেশি নয়।
২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর দু'দিন বৃষ্টি হবে। তবে বেশি বৃষ্টি হবে ২৮ তারিখে। দক্ষিণের সব সব জেলায় হবে। ভারী হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায়। এ রাজ্যে মমতা সরকার ও প্রস্তুত। কলকাতা পুলিশ বিশেষ দল তৈরি করেছে।
মোকাবিলায় তৈরি কলকাতা পুলিশ। শনিবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত সতর্ক থাকবে লালবাজার। 'Unified Command Center' নামে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে লালবাজারে।
শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি (CESC), পিডব্লুডি (PWD), দমকল তৈরি থাকবে। পুলিশি বন্দোবস্তের দায়িত্বে থাকবেন অ্য়াডিশনাল সিপি (৪) তন্ময় রায়চৌধুরী। তিনি নোডাল অফিসার। মোট ২২টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রতিটি দলে তিনজন করে থাকবে।