Delhi Fire: দিল্লির মুন্ডকা বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭। ইতিমধ্যে সব দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চিফ ফায়ার অফিস অতুল গর্গ জানিয়েছেন, এখনও ৩০ থেকে ৪০ জনের ভবনে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানান তিনি। এখন তৃতীয় তলায় তল্লাশি চলছে। ভবনে আটকে পড়া ৯ জনকে সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্ডকা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভবন থেকে লাশ সরানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জেপি নাড্ডা, রাহুল গান্ধী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন।
বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে একটি অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে মুন্ডকা থানায় একটি পিসিআর কল আসে। ফোনের খবরে স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে উদ্ধার করতে শুরু করে।
পুলিশ অফিসাররা বিল্ডিংয়ের জানালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে যে বিল্ডিংটি তিন তলা। একটি বাণিজ্যিক ভবন যা সাধারণত কোম্পানিগুলিকে অফিসের জায়গা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ভবনের প্রথম তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কোম্পানির মালিক আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডের মোট ৯টি গাড়ি উপস্থিত রয়েছে। দগ্ধদের তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
তবে কী কারণে এই আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় লোকজন পৌঁছে প্রথমে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
দিল্লি ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিসের ডেপুটি চিফ ফায়ার অফিসার সুনীল চৌধুরী বলেছেন যে কিছু লোক তাঁদের জীবন বাঁচাতে বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়েছিল। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একজন দমকল কর্মী 'আজ তক' কে বলেছেন যে আমরা প্রায় ৩০০-৩৫০ জনকে সরিয়ে নিয়েছি। ফায়ার কর্মী জানান, ধোঁয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। এছাড়া উদ্ধার কাজে ধোঁয়া থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।