প্রবল বর্ষায় বন্যার কবলে পড়েছে অনেক রাজ্যই। এরমধ্যে মধ্যপ্রদেশ থেকে উঠ এল এক ভয়াবহ ঘটনা। নদীর পার ভেঙে জলের তলায় ডুবে বিদিশা গ্রাম। সেই গ্রামের একটি ১৬ ফুটের গাছ রক্ষা করল এক গর্ভবতী মহিলাকে। পরিবারও ২৪ ঘণ্টা ধরে গাছেই আটকে রইল। বন্যার জলে ঘরবাড়ি ডুবে গেলে সেই মুহূর্তে গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে ভয়াবহ জলের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারছিল না পরিবার। তাদের জন্য আটকে পড়ে আরেকটি পরিবারও।
বিদিশার সিরোজের কৈথন নদীর জলের তোরে ভেসে যায় রনিয়া গ্রাম। আশেপাশের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান সকলেই। আটকে পড়ে দুই পরিবার।
জলের উচ্চতা কয়েক ফুট হয়ে বেড়ে গেছিল। যেখান থেকে বেরোনো একপ্রকার মুশকিল হয়ে পড়ে। গৌরবের স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় তাঁকে নিয়ে বেরোনো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
জল আরও বাড়তে থাকলে গৌরব তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী লক্ষ্মী, দুই সন্তান ও গৌরবের ছোট ভাই ও তাঁর স্ত্রীকে ১৬ ফুটের একটি গাছের ডালে বসিয়ে দেন। সাহায্যের আশায় অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু কেউ সাহায্য করতে আসেনি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সিরিজের বিধায়ককে এই দুটি পরিবারকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানায়। হেলিকপ্টারে করে তাদের উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বিকেল হয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে কিছুই দেখা যাবে না বেল সেই কাজ আর হয়নি। এভাবেই গোটা রাত গাছের ডালে বসে কাটায় পরিবার।
এরপর শনিবার সকালে সেখানে এসে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়।
দীপনাখেরা পুলিশ স্টেশনের অফিসার জানান, সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে যায়। রানিয়া গ্রামের এই পরিবারের কথা জানতে পেরে তাদের উদ্ধার করা হয়।