Advertisement

দেশ

Farmers Protest : কৃষক আন্দোলনের ধাত্রীভূমি, রেখায়-লেখায় ধরা বাঙালি শিল্পীর পেনসিলে

অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 10 Dec 2021,
  • Updated 4:34 PM IST
  • 1/12

Farmers Protest: সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নিয়েছেন দিল্লি সীমান্তের কৃষকেরা। ৩৭৮ দিন পর শেষ রহল আন্দোলন। সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন বাঙালি শিল্পী দেবাঞ্জন রায়। খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাঁদের লড়াই, প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতি, সরকারের চাপের মুখেও কী করে দিনের পর দিন লড়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সব ছবি সৌজন্য: দেবাঞ্জন রায়

আরও পড়ুন: শীতের 'সুপারফুড' লালশাক, ভাল রাখে চোখ-দাঁত, সারায় অ্যানিমিয়া, আরও অনেক গুণ  

  • 2/12

সেই অভিজ্ঞতা তিনি বন্দি করেছেন রেখায়-লেখায়। একের পর এক দৃশ্যের ছবি এঁকেছেন। সেখানকার জীবনযাপন লিখেও রেখেছেন।

আরও পড়ুন: ৩০ বছর বয়সের পর মা হতে চাইলে এই ৫ জরুরি জিনিস মাথায় রাখুন

  • 3/12

দেবাঞ্জন রায় জানান, যখন কোনও কাজ করি, তখন স্যাটায়ার থাকে। ভারতের রাজনীতি, সামাজিক পরিবর্তন ধরার চেষ্টা করি। সরকারের ব্যর্থতাও।

আরও পড়ুন: পর্নে মানা, অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কেও! স্বামীকে 'বেঁধে' রাখতে আজব নিয়ম স্ত্রীর

  • 4/12

বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। অভিযোগ, এই সরকারের ইতিহাস কোনও দিনই ভাল নয়। মুখ খোঁজার চেষ্টা করছে। 

আরও পড়ুন: কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়-ইমিউনিটি বাড়ায় কমলালেবু, রয়েছে আরও অনেক গুণ

  • 5/12

তাঁর আরও অভিযোগ, এই সরকার আসার পর থেকে ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে শুরু করল। করোনার জন্য পয়সা দিয়ে টিকা কিনতে হয়েছে মানুষখে। অনেক আন্দোলন শুরু হল। জোর খাটিয়ে, অন্তর্ঘাত করে বন্ধ করেছে। 

আরও পড়ুন: ব্লাড প্রেশারে ভুগছেন? মুলো খেয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, এছাড়াও...

  • 6/12

কৃষি বিল যখন আনা হবে বলে জানা যায়, তখন থেকে সংগঠনগুলি বলার শুরু করে, সেই বিল না আনতে। 

আরও পড়ুন: দু'হাতে কোনও ক্রমে ঢাকার চেষ্টা! পুনমের বোল্ড TOPLESS ছবি ভাইরাল

  • 7/12

আর তারপরই আন্দোলন শুরু হয়। গণতান্ত্রিক ভাবে যা যা করার করেছিলেন কৃষকেরা। দিল্লির কাছাকাছি আসার পর ব্য়ারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। মাঝ পথে কী হয়েছে সবাই জানেন, সবাই দেখেছেন। বলেন তিনি।

  • 8/12

সেখানে তিনি দু'বার গিয়েছেন। জানাচ্ছেন, আবহাওয়া কোনও ফ্য়াক্টরই নয়। কারণ তাঁদের পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই এই লড়াই শুরু হয়েছিল।

  • 9/12

লতি বছরের জানুয়ারি মাসে সেখানে গিয়েছিলেন। আর্য ওঁরাও, মধুসূদন নস্কর, বিজু থাপা সঙ্গে ছিলেন। 

  • 10/12

টিকরি বর্ডারে যাওয়ার পরামর্শ দেন কৃষক নেতারা। সেখানকার কৃষকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রয়েছে। দেবাঞ্জন বলেন, "লক্ষ লক্ষ লোক। তার মধ্যে আমাদের যা যত্ন দেখিয়েছেন, তা বলার নয়। খেলাম কিনা, স্নান করলাম কিনা, নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছিলেন যেন!"

  • 11/12

বিপাকে পড়েছিলেন, সে অভিজ্ঞতাও আছে। জানাচ্ছিলেন সে কথা। নিজের কাজ করছিলেন। মূর্তি বানাচ্ছিলেন। সে সময় এক ব্যক্তি এসে জানতে চান তাঁরা কী করছেন। হুকুম দিলেন, লিখে দাও কী করছ। অনেকের কৌতুহল হয়। তারপর লিখে দেওয়া হয়। এরপর যেন শান্ত করা যায় তাঁকে! সেখানে থাকা আন্দোলনকারীদের বার বার বলে হচ্ছিল কোনও রকম প্ররোচনায় পা দেবে না। আবরা একদিন একদল যুবক এসে জানতে চায়, গান্ধী হচ্ছে কেন? ভগৎ সিং নয় কেন? বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেই ফাঁকে শুরু করেন ছবি আঁকা। আর তারপর একাত্ম হয়ে গিয়েছেন সবার সঙ্গে। এ বলছেন, আমার সঙ্গে খাও, ও বলছেন, আমার সঙ্গে। একটা রুটি খাও। সেই করতে গিয়ে বেড়ে গিয়েছিল ওজন। দিনে ৩ লিটারের ওপর দুধ খেয়েছি। সবাই এসে দিয়ে যাচ্ছে কেউ খাবার, কেউ ওষুধ। সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। তৈরি হয় লাইব্রেরি। বই পড়তে পারো। নিয়ে যেতে পারো না। ফ্রি-তে সিনেমা দেখানো শুরু করে।

  • 12/12

তাঁর দাবি, ২৬ জানুয়ারি যা হয়েছে পরিকল্পিত জিনিস। কৃষক এমন করতে চাননি। কৃষকেরা যদি ঠিক করতেন গণ্ডগোল করব, তা হলে কেউ আটকাত পারত না। টিকরি সীমান্ত থেকে ৫-৬ লক্ষ ট্রাক্টর বেরিয়েছে। ফুল বৃষ্টি হয়েছিল তাঁদের ওপর। তিনি বলেন, "ওঁরা চারিদিকে গাছ লাগিয়েছেন, পার্ক বানিয়েছেন, রাস্তা পরিষ্কার করেছেন, বসার জায়গা বানিয়েছেন। সেখানকার কোনও কিছু খারাপ তো করেননি। আন্দোলনকারী একজনের বোনের বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। গিয়েছিলাম।"

Advertisement
Advertisement