প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেডে হিংসার পর সরকার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার মুডে। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ সরকার কৃষক আন্দোলন নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। দিল্লির সীমান্ত গাজিয়াবাদ থেকে কৃষকদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ছে যোগী সরকার।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
সিঙ্ঘু বর্ডার আর গাজীপুর বর্ডার সমেত সমস্ত ধর্না স্থলে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্ঘু বর্ডারে ব়্য়াফ এবং জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ক্রেনের সাহায্যে ব্যারিকেড হটানোর কাজ করছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
রাস্তায় জ্যাম আর দিল্লী জুড়ে তাণ্ডব করা কৃষকদের বিরুদ্ধে এবার সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে। লাল কেল্লায় হওয়া তাণ্ডব নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। এখন এলাকাবাসী শীঘ্রই হাইওয়ে খালি করার দাবি জানাচ্ছে। কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে সিঙ্ঘু বর্ডার এলাকার মানুষেরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনকারী স্থানীয়রা জানায় যে, লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে, এটা সহ্য করা হবে না। তাঁরা জানায় যে, আমরা এতদিন কৃষকদের আন্দোলন সহ্য করেছি, কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে যেটা ঘটেছে সেটা সহ্য করার মতো না।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
সিঙ্ঘু বর্ডার আর গাজীপুর বর্ডার সমেত সমস্ত ধর্না স্থলে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্ঘু বর্ডারে ব়্য়াফ এবং জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ক্রেনের সাহায্যে ব্যারিকেড হটানোর কাজ করছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
গাজীপুর বর্ডারে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ডারে মার্চ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গাজীপুর বর্ডার থেকে সমস্ত রকম সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। সাফাই কর্মী, জলের সুবিধা আর টয়লেটের সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দুটি টয়লেট রাখা হয়েছে।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
গণতন্ত্র দিবসের দিনে হওয়া হিংসা নিয়ে ২০ জন কৃষক নেতাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এফআইআরে নাম দায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়েছে। গাজীপুর বর্ডারে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের টেন্টে নোটিস চিপকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ৩ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
কৃষকদের সীমানায় বেঁধে রাখতে গাজীপুরে জেসিবি মেশিন দিয়ে রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। ফলে প্রশাসনের সঙ্গে আরেক দফা সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টিকরি এবং সিঙ্ঘুতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকরাও। তাঁরা বিক্ষোভস্থল ছাড়তে নারাজ। প্রশাসনের চাপের মুখে পড়ে পালটা হুঙ্কার দিয়েছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এর জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত।
জায়গা ছাড়ার বদলে গুলির মুখোমুখি হতে রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন রাকেশ টিকাইত। আত্মসমর্পণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন রাকেশ। রাকেশ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা বলেছে। গাজীপুর সীমানায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। এর পরেও সরকার দমনপীড়নের পথে এগোচ্ছে। এটাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের আসল চেহারা।’’
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)
যোগী সরকার চরমসীমা বেঁধে দেওয়ার পর বিবৃতি দেন রাকেশ। তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসে ঘটে যাওয়া ‘হিংসা’র জন্য শীর্ষ আদালত নিযুক্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত চালানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। দীপ সিধুর ‘প্রকৃত পরিচয়’ প্রকাশ্যে আনার দাবিও তুলেছেন রাকেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিক্ষোভকারী কৃষকরা আদালতে শান্তিপূর্ণ ভাবে গ্রেফতার বরণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু প্রশাসন গা জোয়ারি করলে আমি আত্মহত্যা করব’। আরও বলেন, ‘প্রশাসন এমন পরিকল্পনা করলে আমি এখানেই থাকব। প্রয়োজনে গুলির মুখোমুখিও হব।’ সঙ্গে রাকেশ বলেছেন, কৃষকদের আন্দোলন ভেস্তে দিতে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের পর কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশীয় রাজনীতিতে জোর আলোড়ন। এরই মধ্যে ১৬টি বিরোধীদল একযোগে জানিয়ে দিয়েছে, আন্দেলনরত কৃষকদের প্রতি যে মনোভাব কেন্দ্র দেখাচ্ছে, তার প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি দুই সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা হবে। কৃষকদের মধ্যেও বিভেদ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ওই ঘটনার পর নিজেদের সরিয়ে নিতে চাইছেন আন্দোলন থেকে। তবে, রাকেশ টিকাইত অনড়। তিনি বলেছেন, বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন না প্রত্যাহার পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
(ছবি সোজন্যে: চন্দ্রদীপ কুমার, ইন্ডিয়া টুডে)