হিমাচল প্রদেশের (Himachal pradesh) কিন্নরে ধসের পর থেকে জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য। চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। ৫০০ মিটার নিচে খাদের মধ্যে মিলেছে বাস। এছাড় ধসের কবলে পড়েছে বেশকয়েকটি গাড়িও। একটি গাড়ির ৮ যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। (সমস্ত ছবি সূত্র-পিটিআই)
ভূমিধসের পর প্রায় ২০০ মিটার এলাকা ভরে গিয়েছে ধংসস্তূপে ভরে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪টি অ্যাম্বুল্যান্স ও ১১টি গাড়ি। রয়েছে উদ্ধারকাজের মেশিনপত্রও। প্রায় ১০০ মানুষের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবারই কিন্নরে (Kinnaur Landslide) জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পাহাড়ে ধস নামে। খসে পড়ে পাথরের চাঁই। ধসের গ্রাসে চলে যায় বেশ কয়েকটি যানবাহন। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে একটি বাসের কার্যত হদিশই পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে সন্ধ্যা নেমে যাওয়ার উদ্ধারকার্যও বন্ধ করে দিতে হয়। সকালে আইটিবিপির জওয়ানরা উদ্ধার কাজ শুরু করার পর মেলে স্বস্তির খবর।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া বাসটির হদিশ মেলে। রাস্তা থেকে ৫০০ মিটার নিচে দেখতে পাওয়া যায় বাসটি। কিন্তু তাতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে ২৫ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আইটিবিপির জওয়ানরা জানাচ্ছেন বাসটি পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগতে পারে উদ্ধারকারী দলের। কারণ বাসটি খুবই দুর্গম জায়গায় পড়ে রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকার্য চলিয়ে যাচ্ছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর দল। যন্ত্রের সাহায্যে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। হিমাচলে ভূমিধবসের প্রবণতার কারণে এনডিআরএফ ও এসজিআরএফ দলকে সবসময়ই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০০-র বেশি জওয়ান উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও উদ্ধারকার্য শুরু হতে দেরি হয়েছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করছেন।