পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ মিসাইল এখন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে। ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলের গতি চিন্তায় রেখেছে ন্যাটো বাহিনীকেও।কয়েকদিন আগেই ভূমি সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল। এবার সুপারসনিক মিসাইল ব্রহ্মসের নৌসেনা সংস্করণ নিখুঁত ভাবে লক্ষ্যভেদ করল বঙ্গোপসাগরে।
মঙ্গলবার, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছেই আইএনএস রণবীজয় থেকে নৌসেনা সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের উৎক্ষেপণ করে। দ্রুত ৩০০ কিলোমিটারের দূরে উড়ে যায় ডিআরডিও-র তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি। বঙ্গোপসাগরের কার নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ছিল একটি জাহাজ। কয়েক মিনিট পরই সেই জাহাজে গিয়ে আঘাত করে ব্রহ্মস। মুহূর্তে উড়ে যায় জাহাজটি। কোনও যুদ্ধ নয়, এটা ছিল ডিআরডিও-র তৈরি ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জলে থাকা লক্ষ্যবস্তুর পরীক্ষা। ধ্বংস হওয়া জহাজটি ছিল নৌবাহিনীরই একটি পুরোনো জাহাজ। বলাই বাহুল্য সফল হল সেই পরীক্ষা।
শব্দের চেয়ে বেশি দ্রুতগামী ব্রহ্মস পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। শুরুতে এর পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। ২০১৬ সালে ভারত মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমে বা এসটিসিআরের সদস্য হওয়ার পর রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই মিসাইলের পাল্লা বাড়িয়ে ৪৫০ কিমি করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশপথে সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে বঙ্গোপসাগরে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করে সফল পরীক্ষা করে। ব্রহ্মস বহনে সক্ষমতা বাড়াতে বায়ুসেনা ৪০টি সুখোই ফাইটার জেটকে আপগ্রেডেশন করেছে।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নয়া সংস্করণের পরীক্ষা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লাদাখে এই গোত্রের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মসের পরবর্তী পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে বঙ্গোপসাগরের পরে আরব সাগরকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ডিআরডিও।