১৯৮৪ সালের আজকের দিনেই (৩১ অক্টোবর) নিজের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী গুলিতে মৃত্যু হয় ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর।
এই দিনকে স্মরণ করে টুইট করেছেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আরও অনেকেই।
কিন্তু জানেন কি একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির একটা আন্তরিক, আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে? ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যোগ রয়েছে বাংলার সংস্কৃতির পীঠস্থান শান্তিনিকেতনের।
১৯৩৪ সাল থেকেই শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের আশ্রমের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের) তাঁর যোগাযোগ।
১৯৫০ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে ও পরবর্তীতে দীর্ঘদিন আচার্য থাকাকালীন প্রায় প্রতি বছরই ইন্দিরা গান্ধী পৌষ–মাঘ মাসে শান্তিনিকেতনে আসতেন।
রবীন্দ্রনাথের গুণগ্রাহী জওহরলাল নেহরুর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল কবির শিক্ষা দর্শনে। জওহরলাল অবগত ছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে। ১৯৩৪ সালের জানুয়ারিতে নেহরু দম্পতি শান্তিনিকেতনে এসে বিশ্বভারতীতে ইন্দিরাকে ভর্তির বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে অনুরোধ জানান।
এর পর ১৯৩৪ সালের জুলাই নাগাদ ১৭ বছরের ইন্দিরা বম্বে থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে বিশ্বভারতীতে আইএ পড়তে আসেন। ছাত্রীনিবাস শ্রীসদনে তাঁর জায়গা হয়।
শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর মাষ্টারমশায় ও ‘লোকাল গার্জেন’। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নাম রেখেছিলেন প্রিয়দর্শিনী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গুরুদেবের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের সঙ্গে ছিল তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক।