মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে চাঁদনি রেলস্টেশন ধসে পড়েছে। জানা যাচ্ছে একটি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কারণেই এই হাল স্টেশনটির। তবে এভাবে রেলের বিল্ডিংটি যখন ভেঙে পড়ে ঈশ্বরের কৃপা তখন এর নীচে কেউ ছিল না। (তথ্য - অশোক সোনি)
বলা হচ্ছে যে নেপালনগর থেকে আসিরগড়ের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এখান থেকে পুষ্পক এক্সপ্রেস ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ যাচ্ছিল। বুধবার বিকেল ৪টের দিকে ট্রেনটি জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত চাঁদনি রেলস্টেশন অতিক্রম করার সময় রেলের ভবনটি সেই গতিবেগ সহ্য করতে পারেনি।
ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে দুর্ঘটনায় বিল্ডিংয়ের জানালাগুলির কাঁচ ভেঙে পড়ে এবং বোর্ডগুলি পড়ে রয়েছে। ভবনের সামনের ধ্বংসাবশেষ স্টেশন চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই ঘটনা ঘটার সময়ে ভবনের আশপাশে কর্মরত লোকেরা পালাতে শুরু করেন।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র রেলের বড় আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এই দুর্ঘটনার কারণে সন্ধ্যায় অনেক ট্রেনের চলাচলে প্রভাব পড়ে।
স্টেশন মাস্টার আশারাম নাগবংশি ফোনে জানান, খাঁদ্বা থেকে সাড়ে ৩ টের পবন এক্সপ্রেস আসছিল এবং বুরহানপুর থেকে গুয়াহাটি এক্সপ্রেস একই সাথে একে অপরকে অতিক্রম করে। এরপরেই বিকেল ৩টে ৫৫ নাগাদ পড়েছিল ভবনটি ভেঙে পড়ে, যখন পুষ্পক এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে ৪ টায় সময় সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
ADRM জানিয়েছেন যে বিঘ্নিত ট্রেন পরিষেবা আবার শুরু হয়েছে। এই ঘটনার কারণে বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেন চলাচল প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ ছিল। ভবনে ধসের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।