আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের বহু প্রতিক্ষিত মালাবার নৌমহড়া মঙ্গলবার থেকে শুরু হল বঙ্গোপসাগরে। তিন দিনের এই মহড়ায় এশিয়ার সাগরজলে নামল কোয়াডভূক্ত দেশগুলি।
ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে মালাবার মহড়া এবারই প্রথম নয়। এই বছর ২৪তম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হলেও কয়েকটি কারণে এবারের মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ। লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারতের উত্তেজনার মধ্যে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া ১৩ বছর পর এতে আবারও যোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
দক্ষিণ চিন সাগর জুড়ে ড্রাগন বাহিনীর আধিপত্য খর্ব করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করা এই উদ্দেশ্য। অক্টোবরের গোড়াতেই চতুর্দেশীয় কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকে বসেছিলেন।
দুই ধাপে অনুষ্ঠিত মালাবার নৌমহড়ার প্রথম ধাপ বিশাখাপত্তম উপকূলে ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই মহড়ায় যোগ দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন, অস্ট্রেলিয়ার এইচএমএএস বালারাতসহ এমএইচ-৬০ হেলিকপ্টার এবং জাপানের জেএমএসডিএফ’র ওনামি (ডেস্ট্রয়ার)। প্রথম ধাপের মহড়া শেষ হলে মধ্য নভেম্বরে আরব সাগরে পরিচালিত হবে মালাবার ২০২০ নৌমহড়ার দ্বিতীয় ধাপ।
মহড়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল সঞ্জয় বাতসায়ন। নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় বহরের নেতৃত্ব দেওয়া এই সেনা আধিকারিকের অধীনে রয়েছে ডেস্ট্রয়ার রণবিজয়, ফ্রিগেট শিবালিক, টহল জাহাজ সুকন্যা এবং সাবমেরিন সিন্ধুরাজ। এছাড়া ভারতের অত্যাধুনিক ড্রোন ও হেলিকপ্টারও এই মহড়ায় যুক্ত হয়েছে।