প্রয়াত MDH গ্রুপের মালিক মহাশয় ধরমপাল গুলাটি। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।
MDH -এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মশলার ব্যবসায়ী মহাশয় ধরমপাল গুলাতি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে নিয়েছিলেন পদ্মভূষণ পুরষ্কার। টাঙ্গা দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন ভারতে। কিন্তু আজ তিনি মশালার সম্রাট। আসুন দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু তথ্য।
মহাশয় ধরমপালের জন্ম ১৯২৩ সালের ২ মার্চ, শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে)। ১৯৩৩ সালে তিনি পঞ্চম শ্রেণি শেষ করার আগেই স্কুল ত্যাগ করেন। ১৯৩৭ সালে তাঁর বাবার সহায়তায় ব্যবসা শুরু করেন এবং তার পরে সাবান, ছুতোর, কাপড়, হার্ডওয়্যার, চালের ব্যবসা করেন।
তবে তিনি দীর্ঘদিন এই কাজটি করতে পারেননি এবং তাঁর বাবার সঙ্গে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাঁর বাবার দোকানের নাম ছিল 'মহেশিয়ান দি হাট্টি'। সেখানেই কাজ শুরু করেন তিনি, যেটি একটি 'দেগি মির্থ ওয়া
ভারত-পাক বিভাজনের পরে তিনি দিল্লিতে আসেন এবং ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় মাত্র ১৫০০ টাকা ছিল তাঁর হাতে। এই অর্থ দিয়ে তিনি ৬৫০ টাকায় একটি টাঙ্গা কিনেছিলেন এবং নয়াদিল্লি রেলস্টেশন থেকে কুতুব রোডের মাঝে টাঙ্গা চালাতেন।
কিছু দিন পর তিনি টাঙ্গাটি তাঁর ভাইকে দিয়েছিলেন এবং করোল বাগের আজমল খান রোডে একটি ছোট দোকান স্থাপন করে মশলা বিক্রি শুরু করেন। তাঁর মশালার ব্যবসার যাত্রা শুরু হয় ঠিক সেই সময়ে এবং MDH ব্র্যান্ডটিও প্রতিষ্ঠিত হয় ধীরে ধীরে।
ব্যবসায়ের পাশাপাশি সমাজে বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সব সময়ে। হাসপাতাল, স্কুল ইত্যাদি নির্মাণ ছাড়াও এ পর্যন্ত ২০ টিরও বেশি স্কুল খুলেছেন।
ধরমপাল গুলতি তাঁর অনুরাগীদের কাছে 'দাদাজি' এবং 'মহাশয়জি' নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে অনেক বিশিষ্টজনেরা ধরমপাল গুলতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
MDH এখন একটি বড় ব্র্যান্ড যেটি সুইজারল্যান্ড, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মশলা রফতানি করে।