ভূতের মেলা। নাম শুনলেই হতবাক হবেন সকলে। মধ্যপ্রদেশের বেতুলে গ্রামের মেলার কাণ্ড শুনলে হতবাক হবেন সকলেই।
বেতুলের চিচলি উন্নয়ন ব্লকে মালজপুর গ্রামে গুরু বাবা সাহেবের একটি সমাধিস্থল রয়েছে। সেখানে পৌষ মাসের পূর্ণিমা থেকে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং ভক্তরা প্রচুর পরিমাণে দর্শন করতে আসেন। এর সাথে এখানে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে ভূত, দানব, সর্পদোষ, মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন এমন লোকেরা এখানে এসে চিকিৎসা করাতে আসেন বলে খবর।
প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। মানসিক অসুস্থরা এই মেলায় সমাধির চারপাশে ঘুরপাক খায়। এখানে বসে থাকা পুরোহিত বলে দাবি করা ব্যক্তিরা মহিলা রোগীদের চুল ধরে জিজ্ঞেস করেন কীসে বাধা রয়েছে তাদের। সেইসঙ্গে ঝাড়ফুঁকও করে।
মেলায় আসা এক পরিবারের দাবি তাদের মেয়ে ২ বছর ধরে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা খরচ করেও সুরাহা মেলেনি। শেষে তাই তারা এই মেলায় নিয়ে এসেছে।
ওই মেলায় এক ভক্ত জানান তাদের গুরুর কাছে অলৌকিক শক্তি আছে। তিনি প্রথমে কৃষিকাজ করতেন। মালজপুরে তাঁর জীবিক সমাধি রয়েছে বলে দাবি ওই ভক্তের।
এই প্রসঙ্গে ডঃ রজনীশ শর্মা বলেছেন যে মানসিক অসুস্থতা বিভিন্ন প্রকারের হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর আলাদা চিকিৎসা রয়েছে। চুল ধরে টানা, ঝাঁড়ু দিয়ে চিকিৎসা করা হল কুসংস্কার।