আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। তিনি ৭৫ বছর পূর্ণ করলেন। এই বিশেষ দিনে সামনে এল তাঁর জীবনের এক অজানা অধ্যায়, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। খুব কম মানুষই জানেন, ১৯৮৮ সালে তিনি এই তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন।
সেই বছর সারা দেশ থেকে মাত্র ৪০ জন তীর্থযাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছিল, আর নরেন্দ্র মোদী ছিলেন তাদের একজন। ধরচুলা থেকে শুরু হয়েছিল এই কঠিন যাত্রা, দুই দিনের বাস ভ্রমণের পর শুরু হয় পনেরো দিনের পথ চলা। খাড়া পাহাড়, অনিশ্চিত আবহাওয়া আর প্রতিটি পদক্ষেপে বিপদ, তবু মোদী হেঁটেই সম্পূর্ণ করেছিলেন পুরো যাত্রা।
অনেকে ঘোড়ায় চড়ে পথ পাড়ি দিলেও তিনি বেছে নিয়েছিলেন হাঁটার কষ্টসাধ্য পথ। প্রায়ই অন্যদের আগে প্রতিটি স্টপে পৌঁছে যেতেন তিনি। শান্ত ধৈর্য আর দৃঢ় সংকল্পে দলের বাকিরাও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
সবচেয়ে দুর্গম স্থান ডোলমা পাসে পৌঁছে এক সংকট তৈরি হয়েছিল, পুজোর জন্য প্রদীপ জ্বালানো হয়নি। তখন মোদী নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালান এবং সবাই মিলে শিবের আরতি করেন।
এই যাত্রায় তিনি সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য আর দুর্দশা কাছ থেকে দেখেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় ও সহনশীল করে তোলে।
সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৮৪ সালে তিনি অভিনেতা মনোজ কুমারের সঙ্গে একটি মঞ্চে রয়েছেন। আবার ১৯৯৮ সালের আরেকটি ছবিতে মরিশাস সফরে গঙ্গা তলাওয়ের তীরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।