সুষ্ঠু এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবনযাত্রা। এটাই ৭৫-এর নরেন্দ্র মোদীর ফিট থাকার টোটকা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে শুরু করে মঞ্চের ভাষণ, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সারাদিনটা কীভাবে কাটান তিনি। কী কী কর্মসূচি অনুসরণ করেন, ডায়েটেই বা কী রাখেন। তাঁর ৭৫ তম বর্ষে ফিরে দেখা মোদীর লাইফস্টাইল...
গতে বাঁধা রুটিনই অনুসরণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শত ব্যস্ততা এবং একাধিক কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও তিনি মেনে চলেন শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন। ৭৫ বছরে পা দিয়েও সেই লাইফস্টাইলে এতটুকুও ছেদ পড়েনি নমোর।
৭৫ বছর বয়সেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্মচঞ্চলতা সকলের কাছে ঈর্ষণীয়। এই বয়সেও তিনি সম্পূর্ণ ফিট অ্যান্ড ফাইন। শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়লেও মনটা তাজা নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর ফিটনেস রহস্য জানতে আগ্রহে আট থেকে আশি সকলেরই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিদিন যোগাভ্যাস করেন। সুষম আহার করে তিনি। আর সেটাই ফিটনেসের মূলমন্ত্র।
কী কী আসন করেন প্রধানমন্ত্রী? বজ্রাসন, সেতুবন্ধাসন এবং উত্থানপদাসন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন তাঁর রুটিনে থাকে ৪০ মিনিটের যোগাভ্যাস। এছাড়াও তিনি সূর্য নমস্কার, প্রাণায়াম করে তবেই নিজের দিন শুরু করেন। একইসঙ্গে সপ্তাহে ২ দিন তিনি যোগনিদ্রায় থাকেন।
প্রতিদিন সকালে সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটেন প্রধানমন্ত্রী। আর রাতে ঘুমোন মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। রোজ ভোর ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এতই নাকি সুস্থ থাকতে পারেন তিনি।
অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একবার Narendra Modi বলেছিলেন, 'চোখ খুললেই আমার পা মাটিতে পড়ে যায়। এটা আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে।'
রোজ সন্ধ্যা ৭টার পর আর কোনও খাবার মুখে তোলেন না প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নিরামিষাশী। কোনও খাবারই বেশি খান না তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জীবনচর্চার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুষম এবং স্বল্প খাবার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খাবারের মেন্যুতে থাকে ডাল, ভাত, খিচুড়ি এবং বাজরার মতো খাবার। সকাল ৯টার আগেই প্রাতঃরাশ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি পছন্দ করেন হাল্কা তেলে সেঁকে নেওয়া সজনে ডাঁটার পরোটা এবং গুজরাটি খিচুড়ি।
২০১২ সালে একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ৩৫ বছর ধরে তিনি নবরাত্রির উপোস রাখছেন। বিদেশ সফর করলেও তিনি এই সময় উপবাস করেন। সেই সময় লেবুর জল ও পছন্দের শরবত খেতে তিনি পছন্দ করেন। তাঁর মতে শরীর ডিটক্স ও সুস্থ রাখার সেরা উপায় উপোস রাখা।