দিল্লিতে শুরু হয়ে গেছে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যোগ দিতে রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে সেনা এক জায়গায় একত্রিত হয়েছেন। চলছে মহড়া।
গত নভেম্বর থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লিতে এসে জড় হয়েছেন সেনারা। তবে করোনার কোপে এবছর দিল্লির ২৬ জানুয়ারির সামগ্রিক অনুষ্ঠানের অনেকটাই কাটছাঁট করা হচ্ছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ। এমনকী যাত্রাপথের দৈর্ঘ্যও অনেকটাও কমিয়ে ফেলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শারীরিক দূরত্বের মতো করোনা বিধির যথাযথ পালনের কথা মাথায় রেখেই কুচকাওয়াজের যাত্রাপথ প্রায় তিন ভাগের এক ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগে আগে কুচকাওয়াজের যাত্রাপথ যা ছিল প্রায় ৮.২ কিলোমমিটার, চলতি বছরে করোনা আতঙ্কের জেরে তা হচ্ছে ৩.৩ কিলোমিটার।
এবারের মার্চিং কন্টিনজেন্ট গুলিতে ১৪৪ জন সেনার বদলে থাকছে ৯৬ জন জওয়ান।
ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য লাল্ল কেল্লায় শেষ হবে না এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। বদলে বিজয় চক থেকে কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে ন্যাশানাল স্টেডিয়ামে শেষ হবে বলে খবর।
এমনকী রাজপথে দর্শকের সংখ্যাও অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। দর্শক সংখ্যা এবারে ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
একইসাথে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে বলে খবর।
নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনা-জওয়ান প্রত্যাকেই যাতে সঠিক ভাবে করোনা বিধি মেনে চলেন তার জন্য থাকছে বিশেষ নজরদারি।
এদিকে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এবার অংশগ্রহণ করতে চলেছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর এক বিশেষ দল। এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী। এই উপলক্ষে ভারতের হাইকমিশন প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আসার কথা থাকলেও ব্রিটেনে নতুন করোনা স্ট্রেনের কারণে নতুন করে লকডাউন শুরু হওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়েছে।
তাঁর জায়গায় প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন সুরিনামের ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকাপ্রসাদ সন্তোখি।