একের পর এক দেহ ভেসে যাচ্ছে তিস্তায়। ১৪টি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। ১০২ জনের কোনও খোঁজ নেই। মৃত্যুপুরীর নাম সিকিম। -- সব ছবি সৌজন্য: PTI
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার হড়পা বানে সিকিম এই মুহূর্তে বিপর্যস্ত। ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপদে রয়েছেন। ৩ হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছে উত্তর সিকিমে।
মঙ্গলবার ভোররাতের হড়পা বানে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ২৩ জন সেনা জওয়ানের এখনও কোনও খোঁজ নেই।
সিকিমের মুখ্যসচিব ভিবি পাঠক জানিয়েছেন, কম করে ৩ হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাঙের সঙ্গে কথা বলেছেন।
নিখোঁজ হওয়া সেনা জওয়ানদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় উত্তর সিকিমে। এরপরেই হঠাত্ জল বেড়ে যায় তিস্তায়। তিস্তার জলস্তর ১৫-২০ ফুট বেড়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই পাহাড়ি সড়কের একাধিক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের যোগাযোগের রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বড় অংশ ভেঙে ঝুলছে।
ফলে, দুই রাজ্য আপাতত বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ঘুরপথে নামানো হচ্ছে আটকে পড়া পর্যটকদের।
ভাঙনের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর সিকিমের বড় অংশ। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, প্রশাসনের তরফে সে বিষয়ে এখনই কিছু জানানো সম্ভব হয়নি।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্র্যাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানাচ্ছেন,উত্তর সিকিম এবং গ্যাংটকে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাইরের বহু পর্যটক রয়েছেন। তবে তাঁরা নিরাপদে আছেন। তবে শিলিগুড়ি নেমে আসার একটি বাদ দিয়ে বাকি সব রাস্তা বন্ধ।
একমাত্র জোড়থাং হয়ে সিংতাম হয়ে একটি রাস্তা রয়েছে যেটি অপ্রচলিত এবং অপরিসর। আপাতত সেখানে দিয়েই অল্প বিস্তার গাড়ি চলাচল করলেও বিপুল পরিমাণ পর্যটক যাতায়াতের জন্য তা অপ্রতুল। আপাতত সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
সিকিমের একাধিক ব্রিজ ভেসে গিয়েছে। জাতীয় সড়ক ধসে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একাধিক এলাকায়। সিংতামে ভেসে গিয়েছে ইন্দ্রেণী ব্রিজ।
১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধসে গিয়েছে। উত্তর সিকিমে নিকাশিব্যবস্থার বহু পাইপ ফেটে গিয়েছে। ফলে নিকাশি ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। অন্যদিকে ধস নেমেছে কার্শিয়াঙেও।
তিস্তার জলস্তর নামবে কবে, সেই দিকেই তাকিয়ে সিকিমবাসী।