গোটা রাজ্য সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যখন ভোটের উত্তাপ বাড়ছে, ঠিক তখনই পাহাড়ে শীতলতা বাড়িয়ে সান্দাকফু বরফে ঢেকে গেল। বিস্তীর্ণ এলাকা সাদা বরফের চাদরে মুড়ে যায় বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই।
সান্দাকফুতে বরফ পড়লেও তা উপভোগ করার মতো দুর্ভাগ্যজনকভাবে তেমন কেউ সাক্ষী থাকলেন না। পাহাড়ে পর্যটনের ভরা মরশুমে ভোট ও করণা দুইয়ের দাপটে পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে। তাই স্থানীয় কিছু মানুষ এবং গুটিকয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলো মরশুমের প্রথম অফ সিজন তুষারপাত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ি শহর সমতলে প্রবল কালবৈশাখীর ঝড় এর সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। সমতলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণ পর দুপুর নাগাদ আচমকা তুষারপাত শুরু হয় সান্দাকফুর বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যেই ঝিরিঝিরি তুষারপাত শুরু হয়।
কয়েক ঘন্টা ধরে তুষারপাতের পর আশপাশে দোকানপাট বাজার সমস্ত বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন রাস্তা ছেড়ে বাড়িতে আশ্রয় নেন। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কমে যায়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত হয় তুষারপাত হতে পারে এই এলাকায়। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হলে অবশ্য বরফ গলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ষোল আনা।
সান্দাকফুকে ঘিরে পর্যটন জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক কটেজ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে যা পরিচালনা করে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেগুলি অবশ্য এখন ফাঁকাই।
সান্দাকফুতে যাওয়ার জন্য দার্জিলিং থেকে চালু থাকা ল্যান্ডরোভারগুলি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে আচমকা আসা টুরিস্ট এর জন্য। স্থানীয়দের আশা এর মধ্যে যদি কিছু পরিমাণ পর্যটক আসে তাহলে দু পয়সা রোজগার হয় তাদের। যদিও সে সম্ভাবনা কম।