Advertisement

দেশ

হেঁটে ফেলেছে ৩০০০ কিলোমিটার, এখনও সঙ্গীনির খোঁজে এই 'বাঘমামা'

Aajtak Bangla
  • 18 Nov 2020,
  • Updated 3:27 PM IST
  • 1/6

অজান্তেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে এদেশের একটি বাঘ। জানা যাচ্ছে ওয়াকার নামে এই বাঘটি মহারাষ্ট্রের ৭ টি জেলা এবং তেলেঙ্গনার বিভিন্ন অঞ্চলে  ৯  মাসে ৩০০০ কিলোমিটার যাত্রা সম্পন্ন করেছে। এর আগে কোনও বাঘ এত দীর্ঘ ভ্রমণ কেরনি। 
 

  • 2/6

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াকারকে রেডিও কলার লাগানো হয়েছিল। এই অবস্থাতেই বাঘটি জঙ্গল ভ্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। জিপিএস স্যাটেলাইটের সাহায্যে বাঘটিকে প্রতি ঘণ্টায় ট্র্যাক করা হচ্ছিল। জানা যাচ্ছে তার পুরো যাত্রাকালে বাঘটি ৫০০০ টি নতুন স্থানে হাজির হয়েছিল। 

  • 3/6

নয় মাস ভ্রমণের পরে,  বাঘটি গত মার্চ মাসে মহারাষ্ট্রের অভয়ারণ্যে বসতি স্থাপন করেছিল। এরপরেই রেডিও কলারটি চলতি বছরের এপ্রিলে সরানো হয়। ২০৫ বর্গকিলোমিটার ব্যাসার্ধের বিস্তৃত জ্ঞানগঙ্গা অভয়ারণ্যে আপাতত ঘাঁটি গেড়েছে বাঘটি। এখানে নীল ষাঁড়, বুনো শূকর, চিতা, ময়ূর এবং হরিণের মতো প্রাণীরও বাস।
 

  • 4/6

গত শীতকালে এবং চলতি বছর গ্রীষ্মের মরসুমে, ওয়াকার নদী, জাতীয় সড়ক, ক্ষেত এবং জঙ্গলে ভ্রমণ করেছে। মহারাষ্ট্রে শীতের মরশুমে তুলা উৎপাদন হয়।  এর ফলে ক্ষেতের মধ্যে ওয়াকারের লুকিয়ে থাকতে সুবিধা হয়েছিল। বেশিরভাগ সময় রাত্রেই  ভ্রমণ করত বাঘটি। এই সময়ে সে বুনো শুকরের মতো প্রাণী খেয়ে জীবনযাপন করছিল। এখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেন, অঞ্চেলর অনেক প্রাণীর কাছে ওয়াকারই  ছিল প্রথম দেখা বাঘ।

  • 5/6

ওয়াকারের সঙ্গিনী হিসাবে অভয়ারণ্যে কোনও বাঘিনীকে আনা হবে কিনা তা নিয়ে  আলোচনা শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের এক সিনিয়র বন আধিকারিক নিতিন কাকোডকার জানিয়েছেন,  বাঘ সম্ভবত শিকার করতে, বা এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করতে অথবা সাথীর সন্ধান করছে। তাঁর আঞ্চলগত কোনও সমস্যা নেই এবং যথেষ্ট শিকারও মজুত রয়েছে।  

  • 6/6

ওই বনকর্তা আরও বলেন, কোনও বাঘিনীকে এখানে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে না, কারণ এটি কোনও বড় অভয়ারণ্য নয়। এর চারপাশে ক্ষেত-খামারি রয়েছে। এখানে বাঘিনী সন্তানদের জন্ম দিলে তারা আশে পাশে হানা দিতে পারে। ছোট অভ্যাসের কারণে তাই ওয়াকারের সঙ্গীনি পাওয়া আপাতত ঝুলেই রয়েছে।

Advertisement
Advertisement