দৈনিক করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে। বৃহস্পতিবারই ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ পেরিয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সাম্প্রতিক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সাড়ে তিন লাখ ছুঁইছুঁই দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৩২ হাজার ৭৩০। মারা গিয়েছেন দু' হাজার ২৬৩ জন।
বর্তমানে সারা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৬১৬। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন।
এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এদিন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুত সংক্রমণ আটকাতে আগামী পয়লা মে থেকে দেশ জুড়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে। আর এর মধ্যেই কিছুটা হলেও এল স্বস্তির খবর।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে আরও একটি ওষুধকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল DCGI। দেশের নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস-ক্যাডিলার তৈরি ‘ভিরাফিন’ ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে করোনার চিকিৎসায়, জানিয়ে দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।
তবে একেবারেই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করতে হবে এই ওষুধ। জাইডাস-ক্যাডিলার দাবি, তাদের তৈরি ‘ভিরাফিন’ আসলে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ এবং করোনা আক্রান্তদের মৃদু উপসর্গ থাকলে এই ওষুধে একদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব
সংস্থা বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্রুত সুস্থ করে তুলবে ভিরাফিন। জটিলতাও অনেকটা কমিয়ে দেবে। তবে হাসপাতালের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করা যাবে ভিরাফিন। অ্যান্টিভাইরাল ভিরাফিন দিয়ে চিকিৎসায় দ্রুত সেরে উঠবেন রোগীরা।