উত্তরপ্রদেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক। আগ্রার দুটি গ্রামে গত ২০ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৪ জন। তাঁরা সবাই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে ওই ২ গ্রামের ১০০ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। যার মধ্যে ২৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আগ্রা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুরওবা গ্রাম। সেখানে গত ২০ দিনে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকের জ্বর, কাশির মতো উপসর্গ ছিল। সবাই শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন। এই গ্রামেরই ১০০ জনের করোনা টেস্ট করানো হয়।
যাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের গ্রামেরই একটি প্রাথমিক স্কুলে রাখা হয়েছে। সেখানে বানানো হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। তবে সেই স্কুলে নেই যথার্থ চিকিৎসার সুবিধা। সেজন্য কয়েকজনকে আগ্রার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আজ রাজ্যে হতে পারে বৃষ্টি, বইবে ঝোড়ো হাওয়াও
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই গ্রামের বাসিন্দারা তেমন সচেতন নন। করোনায় আক্রান্ত হয়েও তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন না। ফলে বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কা।
সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে আগ্রার বামরৌলি কাতারা গ্রামে। গ্রামে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সেখানকার প্রধান জানিয়েছেন, গত ২০ দিনে কম করে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বামরৌলি কাতারা গ্রামে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে ঠিকই। তবে তা তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
আগ্রার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা জানান, ওই দুই গ্রামে এতজনের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। তবে কী কারণে তাঁরা মারা গেলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।