Advertisement

ত্রিপুরায় ভাষাগত মিলই কি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ তৃণমূলের?

তৃণমূলের (TMC) ত্রিপুরা জয়ের সংকল্প যত দৃঢ় হচ্ছে ততই জোরদার হচ্ছে একটা প্রশ্ন, হঠাৎ কেন প্রতিবেশী এই রাজ্যটিকে দখল করতে এতটা উঠে পড়ে লাগল ঘাসফুল শিবির? কারণ বিজেপি বিরোধিতাই যদি প্রধান উদ্দেশ্য হয় তাহলে তো ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের জন্যও এখন থেকে কোমর বেঁধে নামতে পারত তৃণমূল। তাহলে ত্রিপুরাই কেন? 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিপ্লব দেব (বামদিক থেকে)
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 10 Aug 2021,
  • अपडेटेड 5:06 PM IST
  • ত্রিপুরায় ভাষাগত সুবিধা পেতে পারে তৃণমূল
  • একটা বড় অংশের মানুষ কথা বলেন বাংলাতে
  • মানুষকে সহজে বার্তা দিতে পারবে ঘাসফুল ব্রিগেড

তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। সে রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ সালে হলেও তার জন্য এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বাংলার প্রতিবেশী এই রাজ্যে যাতায়াত বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। আঘাত এসেছে, কিন্তু তারপরেও থেমে থাকেনি কর্মসূচি। এমনকী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো সরাসরি বিপ্লব দেবের সরকারকে উপড়ে ফেলার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন। আর তার জন্য শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিকে তৃণমূলের (TMC) ত্রিপুরা জয়ের সংকল্প যত দৃঢ় হচ্ছে ততই জোরদার হচ্ছে একটা প্রশ্ন, হঠাৎ কেন প্রতিবেশী এই রাজ্যটিকে দখল করতে এতটা উঠে পড়ে লাগল ঘাসফুল শিবির? কারণ বিজেপি বিরোধিতাই যদি প্রধান উদ্দেশ্য হয় তাহলে তো ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের জন্যও এখন থেকে কোমর বেঁধে নামতে পারত তৃণমূল। তাহলে ত্রিপুরাই কেন? 

হিন্দিতে ভাষণ মোদী-শাহদের

রাজনৈতিকমহল মনে করছে এর অন্যতম প্রধান কারণ হল ভাষা। যেহেতু ত্রিপুরাতে (Tripura) একটা বড় অংশের মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন, সেহেতু তাঁদের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দেওয়াটা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সহজ হবে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। যেটা হয়ত উত্তরপ্রদেশ বা অন্যকোনও রাজ্যে সম্ভব হবে না।

নরেন্দ্র মোদী

এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) দলের হয়ে লাগাতার জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), অমিত শাহ (Amit Shah), জে পি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর প্রকাশ্যেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে দলের প্রথম সারির নেতানেত্রীরা প্রচারে এলেও মানুষ হয়ত তাঁদের কথা বুঝতে পারেননি। আর সেখানে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাষা। কারণ দিল্লি তথা ভিনরাজ্যে থেকে বিজেপির যে সমস্ত নেতৃত্ব প্রচারে এসেছিলেন, তাঁদের ভাষণের প্রায় পুরোটাই ছিল হিন্দিতে। আর সেখানেই হয়ত সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে মত বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতৃত্বের কারও কারও। 

Advertisement

তৃণমূলের সুবিধা

কিন্তু ত্রিপুরার (Tripura) তৃণমূলের সামনে সেই সমস্যা নেই। কারণ সেখানে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীই হোন বা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কিংবা আমজনতা, বেশিরভাগই বাংলা ভাষা বুঝতে ও বলতে পারেন। সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে ভাষাগত দিক থেকে ত্রিপুরাতে অ্যাডভান্টেজ রয়েছে তৃণমূলেরই (TMC)। আর সেই কারণেই হয়ত তৃণমূল ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞজের কেউ কেউ। 

আরও পড়ুনবহরমপুরের অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার মালদা থেকে, জালে ১ 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement