দেশে ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় মৃত্যু মিছিল নিয়ে আশঙ্কাবার্তা শোনাল একটি সংস্থা। মে মাসে দেশের দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা হতে পারে ৫,৬০০। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই ক্রমগাত উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্টাডি অনুযায়ী,দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে। আগামী দিনগুলো আরও খারাপ আসতে চলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ মে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা হতে পারে ৫,৬০০। দেশের মোট মৃত্যু সংখ্যা হতে পারে ৩,২৯,০০০। জুলাই মাসে সেটা বেড়ে হতে পারে ৬,৬৫,০০০। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই চিন্তা আরও বেড়েছে।
বাংলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাংলার কোভিড আক্রান্ত সংখ্যাও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৮৭৬। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৭,১৩,৭৮০। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। এখন পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা ১০, ৮২৫। রাজ্যে নির্বাচনী মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি ঘিরে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যে সমস্তা রাজনৈতিক দলের মিছিল ও পদযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে। সভা ৫০০ জনের বেশি করার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তার পরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। যা ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে চিন্তার মেঘ। ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভিনরাজ্যের বিমানযাত্রীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও ছত্তীসগড় থেকে রাজ্যে আসা বিমানযাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে RTPCR টেস্ট। এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ২৬ তারিখ থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। এর আগে ৪ রাজ্যের জন্য এই নিয়ম চালু ছিল। মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার জন্য চালু ছিল এই নয়া নিয়ম। এবার তালিকায় জুড়ল আরও নয়া কিছু রাজ্যের নাম।
আরও পড়ুন, ৯ রাজ্যের বিমানযাত্রীদের করতে হবে RTPCR টেস্ট! নির্দেশিকা রাজ্যের
রয়েছে অক্সিজেন ঘাটতিও
করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সামনে এসেছে দেশের অক্সিজেন ঘাটতি। বিভিন্ন রাজ্যই অভিযোগ করছে অক্সিজেন ঘাটতি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন এই কথা বলেছেন। যদিও তিনি জানান, শিল্পখাতে ব্যবহার করা অক্সিজেন আপাতত স্বাস্থ্যখাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া বাইরে থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন ঘাটতিও সামনে এসেছে।